ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে কেক কেটে বিজয় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মেয়র হলে প্রতিটা ওয়ার্ডে মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করা হবে মুফতি ফয়জুল করীম মাদক ব্যাবসায়ীর হামলায় আহত র‍্যাব সদস্যকে দেখতে কুষ্টিয়ায় র‍্যাব-১২ সিও মারুফ হোসেন বরিশাল সিটি নির্বাচন ঃমেয়র প্রার্থীরা সম্পদের হিসাব দিলেন সিটি নির্বাচন বরিশাল। ” চা বিক্রেতা কাউন্সিলর প্রার্থী আইসিসিবিতে বসুন্ধরা ‘এলপিজি নাইট’

দ্বীন শিক্ষাদানকারীরা অবহেলিত থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দীন ইসলামের শিক্ষাদানকারীরা অবহেলিত থাকবেন না। তাঁরা অবহেলিত থাকতে পারে না। আজ  রবিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা জানান। বেলা পৌনে ১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য প্রদান শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দিন ইসলামের খিদমত করে, তাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরে সৌভাগ্যের বিষয় মনে করেছেন। বলেছেন, আমাকে যখন সংবর্ধনার কথা বলা হয়, তখন আমি বলি আমাকে না, এটা হবে আল্লাহকে শুকরিয়া আদায়। কারণ ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানুষকে শান্তির পথ দেখায়। দ্বীন ইসলামের শিক্ষাদানকারীরা কেন অবহেলিত থাকবে? তাদেরকে কখনও অবহেলিত থাকতে দেওয়া যায় না।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানানোর আগে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

পরে বক্তৃতা শুরু করেই মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আলেম-ওলামাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সাধারণ শিক্ষার মতোই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সংযুক্ত হলেই একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হয়। আর কেউ যেন কওমি স্বীকৃতি বাতিল করতে না পারে সেজন্য এই আইন (স্নাতকোত্তর স্বীকৃতি) করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমেই মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কাজ করছে’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তারের জন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচারে লিপ্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না। সরকার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী”

দ্বীন শিক্ষাদানকারীরা অবহেলিত থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৮:০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দীন ইসলামের শিক্ষাদানকারীরা অবহেলিত থাকবেন না। তাঁরা অবহেলিত থাকতে পারে না। আজ  রবিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা জানান। বেলা পৌনে ১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য প্রদান শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দিন ইসলামের খিদমত করে, তাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরে সৌভাগ্যের বিষয় মনে করেছেন। বলেছেন, আমাকে যখন সংবর্ধনার কথা বলা হয়, তখন আমি বলি আমাকে না, এটা হবে আল্লাহকে শুকরিয়া আদায়। কারণ ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানুষকে শান্তির পথ দেখায়। দ্বীন ইসলামের শিক্ষাদানকারীরা কেন অবহেলিত থাকবে? তাদেরকে কখনও অবহেলিত থাকতে দেওয়া যায় না।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানানোর আগে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

পরে বক্তৃতা শুরু করেই মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আলেম-ওলামাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সাধারণ শিক্ষার মতোই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সংযুক্ত হলেই একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হয়। আর কেউ যেন কওমি স্বীকৃতি বাতিল করতে না পারে সেজন্য এই আইন (স্নাতকোত্তর স্বীকৃতি) করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমেই মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কাজ করছে’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তারের জন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচারে লিপ্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না। সরকার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।