ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে কেক কেটে বিজয় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মেয়র হলে প্রতিটা ওয়ার্ডে মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করা হবে মুফতি ফয়জুল করীম মাদক ব্যাবসায়ীর হামলায় আহত র‍্যাব সদস্যকে দেখতে কুষ্টিয়ায় র‍্যাব-১২ সিও মারুফ হোসেন বরিশাল সিটি নির্বাচন ঃমেয়র প্রার্থীরা সম্পদের হিসাব দিলেন সিটি নির্বাচন বরিশাল। ” চা বিক্রেতা কাউন্সিলর প্রার্থী আইসিসিবিতে বসুন্ধরা ‘এলপিজি নাইট’

ছেলেকেও ফুটবলার হিসেবে দেখতে চান রোনালদো

একজন সফল বাবা সব সময় চান সন্তানের সাফল্য, সম্ভব হলে সেটা নিজের পেশাতেই। ক্রীড়াবিদেরাও এর বাইরে নন। তবে ফুটবলে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটেছে। ফুটবলে এখনো কোনো মহাতারকার সন্তান নিজেকে বড় তারকা হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি। পাওলো মালদিনিকেও উদাহরণ হিসেবে টেনে আনা যায় না। কারণ, তারকাখ্যাতিতে ছেলের ধারেকাছেও ছিলেন না সিজার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তবু স্বপ্ন দেখেন, ছেলে হবে বড় ফুটবলার, হবে তাঁর মতোই মহাতারকা।

তারকা বাবার সন্তানদের বহন করতে হয় ‘লিগ্যাসি’ প্রমাণ করার কঠিন বোঝা। সে কাজে অধিকাংশই ব্যর্থ হন। ফুটবলে খুব কমই পেরেছেন এ কাজ করতে। ইদানীং শুধু কাসপার স্মাইকেলই গোলরক্ষক বাবা পিটার স্মাইকেলের কীর্তির ধারেকাছে যেতে পেরেছেন। জিনেদিন জিদানের বড় দুই ছেলে রিয়ালের একাডেমিতে বেড়ে উঠেও এখনো শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে দাগ কাটতে পারেননি। প্যাট্রিক ক্লাইভার্টের ছেলে জাস্টিন অবশ্য আশা দেখাচ্ছেন, জর্জ উইয়াহর ছেলে টিমোথিও। এ ছাড়া বাকি সবার গল্পই হতাশার, স্বপ্নভগ্নের।

এমন চাপ থেকে ছেলেকে মুক্তি দিতে লিওনেল মেসি যেমন আগেভাগেই বলে দিয়েছেন, তাঁর বড় ছেলে থিয়াগো ফুটবল খেলতে চায় না। রোনালদোর অবশ্য সে উপায় নেই। সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের মাঠেই ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের খেলা দেখেছে দর্শকেরা। রিয়ালের খেলা শেষে জুনিয়রের পায়ের গোল দেখার সৌভাগ্য হয়েছে সবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জুনিয়রের বিভিন্ন গোল, হ্যাটট্রিক কিংবা ফ্রি কিক নেওয়ার ভিডিও বাবা রোনালদোই সবাইকে দেখিয়ে বেড়িয়েছেন।

আট বছর বয়সীর পায়ের খেলায় বাবার ছাপ দেখেন সবাই। রোনালদো নিজেও তা স্বীকার করেন আর এ কারণে ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস পান, ‘সে খুবই প্রতিযোগী মনোভাবের, ছোটবেলায় আমিও এমন ছিল। এবং সেও হারতে পছন্দ করে না। আমি শতভাগ নিশ্চিত, সেও আমার মতো হবে। আশা করি, আমার যে অভিজ্ঞতা সেটার সঙ্গে আমার অনুপ্রেরণা, গোল দিয়ে আমি ওকে কিছু শেখাতে পারব, কিন্তু সে তা-ই হবে, যেটা সে হতে চায়।’

ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র ফুটবলার হতে চাইলে সেরা একজনকেই পাবে কোচ হিসেবে। কারণ, পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী একজন যে তাকে সব শিখিয়ে-পড়িয়ে দেবেন। তবে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য সন্তানকে বাধ্য করবেন না রোনালদো। জুনিয়রকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেবেন ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার, ‘আমি ওকে সব সময় সমর্থন দিয়ে যাব (যেকোনো সিদ্ধান্তেই)। তবে অবশ্যই চাইব ক্রিস্টিয়ানো ফুটবল খেলোয়াড় হোক। কারণ, আমার ধারণা, ওর মধ্যে সে তাড়না আছে। শারীরিক দিক থেকে ও ভালো। ওর গতি আছে। আছে ভালো স্কিল। সে ভালো শট নিতে পারে, কিন্তু এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ওই নেবে। আর সে এখনো অনেক ছোট, তাই আমি কোনো চাপ সৃষ্টি করব না। তবে অবশ্যই এটা আমার একটা স্বপ্ন, আমার ছেলে ফুটবলার হবে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী”

ছেলেকেও ফুটবলার হিসেবে দেখতে চান রোনালদো

আপডেট টাইম ০৮:১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৮

একজন সফল বাবা সব সময় চান সন্তানের সাফল্য, সম্ভব হলে সেটা নিজের পেশাতেই। ক্রীড়াবিদেরাও এর বাইরে নন। তবে ফুটবলে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটেছে। ফুটবলে এখনো কোনো মহাতারকার সন্তান নিজেকে বড় তারকা হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি। পাওলো মালদিনিকেও উদাহরণ হিসেবে টেনে আনা যায় না। কারণ, তারকাখ্যাতিতে ছেলের ধারেকাছেও ছিলেন না সিজার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তবু স্বপ্ন দেখেন, ছেলে হবে বড় ফুটবলার, হবে তাঁর মতোই মহাতারকা।

তারকা বাবার সন্তানদের বহন করতে হয় ‘লিগ্যাসি’ প্রমাণ করার কঠিন বোঝা। সে কাজে অধিকাংশই ব্যর্থ হন। ফুটবলে খুব কমই পেরেছেন এ কাজ করতে। ইদানীং শুধু কাসপার স্মাইকেলই গোলরক্ষক বাবা পিটার স্মাইকেলের কীর্তির ধারেকাছে যেতে পেরেছেন। জিনেদিন জিদানের বড় দুই ছেলে রিয়ালের একাডেমিতে বেড়ে উঠেও এখনো শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে দাগ কাটতে পারেননি। প্যাট্রিক ক্লাইভার্টের ছেলে জাস্টিন অবশ্য আশা দেখাচ্ছেন, জর্জ উইয়াহর ছেলে টিমোথিও। এ ছাড়া বাকি সবার গল্পই হতাশার, স্বপ্নভগ্নের।

এমন চাপ থেকে ছেলেকে মুক্তি দিতে লিওনেল মেসি যেমন আগেভাগেই বলে দিয়েছেন, তাঁর বড় ছেলে থিয়াগো ফুটবল খেলতে চায় না। রোনালদোর অবশ্য সে উপায় নেই। সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের মাঠেই ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের খেলা দেখেছে দর্শকেরা। রিয়ালের খেলা শেষে জুনিয়রের পায়ের গোল দেখার সৌভাগ্য হয়েছে সবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জুনিয়রের বিভিন্ন গোল, হ্যাটট্রিক কিংবা ফ্রি কিক নেওয়ার ভিডিও বাবা রোনালদোই সবাইকে দেখিয়ে বেড়িয়েছেন।

আট বছর বয়সীর পায়ের খেলায় বাবার ছাপ দেখেন সবাই। রোনালদো নিজেও তা স্বীকার করেন আর এ কারণে ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস পান, ‘সে খুবই প্রতিযোগী মনোভাবের, ছোটবেলায় আমিও এমন ছিল। এবং সেও হারতে পছন্দ করে না। আমি শতভাগ নিশ্চিত, সেও আমার মতো হবে। আশা করি, আমার যে অভিজ্ঞতা সেটার সঙ্গে আমার অনুপ্রেরণা, গোল দিয়ে আমি ওকে কিছু শেখাতে পারব, কিন্তু সে তা-ই হবে, যেটা সে হতে চায়।’

ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র ফুটবলার হতে চাইলে সেরা একজনকেই পাবে কোচ হিসেবে। কারণ, পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী একজন যে তাকে সব শিখিয়ে-পড়িয়ে দেবেন। তবে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য সন্তানকে বাধ্য করবেন না রোনালদো। জুনিয়রকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেবেন ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার, ‘আমি ওকে সব সময় সমর্থন দিয়ে যাব (যেকোনো সিদ্ধান্তেই)। তবে অবশ্যই চাইব ক্রিস্টিয়ানো ফুটবল খেলোয়াড় হোক। কারণ, আমার ধারণা, ওর মধ্যে সে তাড়না আছে। শারীরিক দিক থেকে ও ভালো। ওর গতি আছে। আছে ভালো স্কিল। সে ভালো শট নিতে পারে, কিন্তু এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ওই নেবে। আর সে এখনো অনেক ছোট, তাই আমি কোনো চাপ সৃষ্টি করব না। তবে অবশ্যই এটা আমার একটা স্বপ্ন, আমার ছেলে ফুটবলার হবে।’