ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপ “নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী” বাকেরগঞ্জে জমিসহ আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছেন আরও ২৭৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার “বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের “ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন” প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ” সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ যোগ্য নাগরিক গড়ে: মেয়র জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এসিল্যান্ড নাজমুল হুদার হস্তক্ষেপে নির্মিত হচ্ছে ব্রীজ সাপুড়ের কাছ থেকে উদ্ধার করে বনে ছাড়া হলো ৫ সাপ। কুয়াকাটায় পর্যটকদের বিনোদনে যোগ হলো বিমানাকৃতির গাড়ি। হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক ২ সিলেট জুড়ে বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে চা বাগান গুলোতে

গজারিয়াবাসী ২০ বছরে ফুলদী নদীতে সেতু পায়নি

  • রাজু আহমেদ
  • আপডেট টাইম ০৩:১৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • ৬১৮ বার পড়া হয়েছে

রাজু আহমেদ, গজারিয়া প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াবাসি
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গজারিয়া উপজেলার গণমানুষের প্রাণের দাবি ছিল ফুলদী নদীতে একটি সেতু। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস হয়। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। এর পর ২০ বছর পার হলেও এখনো শুরু হয়নি নির্মাণকাজ। এদিকে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

ভোগান্তির মধ্য দিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২০ বছরেও পায়নি সেতু,
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকায় উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর প্রশাসনিক নানা জটিলতা ও সরকার পরিবর্তন হলেও সেতু নির্মাণকাজের ফাইল আর নড়েনি। ২০ বছর অতিবাহিত হলেও ফুলনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়নি। নদীর রসুলপুর প্রান্তে শুধু ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক নির্মাণ পর্যন্তই রয়েছে সেতু নির্মাণকাজ।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, ভিত্তিপ্রস্তরের পর সাড়ে ২০ বছরেও গজারিয়ার ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় রসুলপুর, দৌলতপুর, ইমামপুর আঁধারমানিক, করিম খাঁ, মাথাভাঙ্গা, গজারিয়া, হোসেন্দী, ইসমানিরচর গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে ফুলদী নদী পাড়ি দিয়ে জীবনযাপন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া এসব গ্রামের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষর্থী প্রতিদিন এই ফুলনী নদী পাড়ি দিয়ে গজারিয়া পাইলট হাইস্কুল, গজারিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া বাতেনিয়া

আলিম মাদ্রাসা, মাথাভাঙ্গা মহিলা আলিম মাদ্রাসা ও গজারিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়ালেখা করছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী

প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচলের অধিকতর গুরুত্ব থাকায় ফুলদী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। গজারিয়ার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ইতোমধ্যে সেতু বিভাগ প্রাথমিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণ করা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফুলদী নদীর উপরও সেতু নির্মাণ করা হবে।

গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, রসুলপুর ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে ফুলদী নদীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফেরি চলাচল করছে। ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণসহ মেঘনা নদীতে সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের সেতুবন্ধন হবে। গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন শিল্পপার্ক, গার্মেন্টস পল্লী এবং ঔষধ শিল্পপার্কের মালামাল সহজে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় পরিবহন করা যাবে। সেতু দুটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে খুলনার মংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের সড়ক যোগাযোগে প্রবেশদ্বার হবে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপ

গজারিয়াবাসী ২০ বছরে ফুলদী নদীতে সেতু পায়নি

আপডেট টাইম ০৩:১৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

রাজু আহমেদ, গজারিয়া প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াবাসি
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গজারিয়া উপজেলার গণমানুষের প্রাণের দাবি ছিল ফুলদী নদীতে একটি সেতু। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস হয়। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। এর পর ২০ বছর পার হলেও এখনো শুরু হয়নি নির্মাণকাজ। এদিকে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

ভোগান্তির মধ্য দিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২০ বছরেও পায়নি সেতু,
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকায় উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর প্রশাসনিক নানা জটিলতা ও সরকার পরিবর্তন হলেও সেতু নির্মাণকাজের ফাইল আর নড়েনি। ২০ বছর অতিবাহিত হলেও ফুলনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়নি। নদীর রসুলপুর প্রান্তে শুধু ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক নির্মাণ পর্যন্তই রয়েছে সেতু নির্মাণকাজ।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, ভিত্তিপ্রস্তরের পর সাড়ে ২০ বছরেও গজারিয়ার ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় রসুলপুর, দৌলতপুর, ইমামপুর আঁধারমানিক, করিম খাঁ, মাথাভাঙ্গা, গজারিয়া, হোসেন্দী, ইসমানিরচর গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে ফুলদী নদী পাড়ি দিয়ে জীবনযাপন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া এসব গ্রামের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষর্থী প্রতিদিন এই ফুলনী নদী পাড়ি দিয়ে গজারিয়া পাইলট হাইস্কুল, গজারিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া বাতেনিয়া

আলিম মাদ্রাসা, মাথাভাঙ্গা মহিলা আলিম মাদ্রাসা ও গজারিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়ালেখা করছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী

প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচলের অধিকতর গুরুত্ব থাকায় ফুলদী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। গজারিয়ার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ইতোমধ্যে সেতু বিভাগ প্রাথমিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণ করা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফুলদী নদীর উপরও সেতু নির্মাণ করা হবে।

গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, রসুলপুর ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে ফুলদী নদীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফেরি চলাচল করছে। ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণসহ মেঘনা নদীতে সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের সেতুবন্ধন হবে। গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন শিল্পপার্ক, গার্মেন্টস পল্লী এবং ঔষধ শিল্পপার্কের মালামাল সহজে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় পরিবহন করা যাবে। সেতু দুটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে খুলনার মংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের সড়ক যোগাযোগে প্রবেশদ্বার হবে।