ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে কেক কেটে বিজয় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মেয়র হলে প্রতিটা ওয়ার্ডে মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করা হবে মুফতি ফয়জুল করীম মাদক ব্যাবসায়ীর হামলায় আহত র‍্যাব সদস্যকে দেখতে কুষ্টিয়ায় র‍্যাব-১২ সিও মারুফ হোসেন বরিশাল সিটি নির্বাচন ঃমেয়র প্রার্থীরা সম্পদের হিসাব দিলেন সিটি নির্বাচন বরিশাল। ” চা বিক্রেতা কাউন্সিলর প্রার্থী আইসিসিবিতে বসুন্ধরা ‘এলপিজি নাইট’

কোটা আন্দোলন এবং উঠতি মধ্যবিত্তের ধিকিধিকি মন

বলপ্রয়োগ ছাড়াও রাজনীতি ও সরকার পরিচালনার আরও অনেক উপায় আছে। মধ্যযুগের রাজ্যশাসন থেকে আধুনিক রাষ্ট্রাচার সেখানেই কিছুটা আলাদা। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস যেন বলপ্রয়োগেরই ইতিহাস। বলপ্রয়োগ ছাড়া কোনো বিবাদ–বিতর্কের মীমাংসাই হয় না। শুধু রাষ্ট্রে নয়, জনগণের মধ্যেও এই বাতিক রয়ে গেছে। গায়ের জোরে কৃষকদের দমন করা যায়, শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ রাখা যায়, কিন্তু ছাত্রসমাজকে মেরে-কেটে মোকাবিলা করাটা একটু জটিলই বটে। কারণটা খুবই স্পষ্ট, অহিংস ছাত্রছাত্রীরা জাতির সন্তান। তাদের বিষয়ে জনগণের মনে ঐতিহাসিক আবেগ ও স্পর্শকাতরতা আছে। বলপ্রয়োগ ছাড়া মীমাংসার অন্য পথগুলো তাই খোলা রাখা দরকার।

গরিব-মেহনতি বা নিম্নমধ্যবিত্ত, যে শ্রেণি থেকেই ছাত্রছাত্রীরা আসুক, তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়টা মধ্যবিত্তের। যত পেছন থেকেই রওনা করুক না কেন, শিক্ষার সিঁড়ি তরুণ-তরুণীদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাতারে নিয়ে আসে। মধ্যবিত্ত পুস্তকের প্রচ্ছদে সেই শ্রেণির তরুণদের ইমেজই ভাসে। আর মধ্যবিত্তই তো জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করার ঐতিহাসিক দাবিদার। সমাজের সব নড়াচড়ার যোগসূত্র ও মধ্যস্থতাকারী কিন্তু মধ্যবিত্তরাই। মধ্যে থাকার সুবাদে জনগণের আর সব অংশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ, মানুষ তাদের কথা শোনে। তারা কথা বলে, সামাজিক জমায়েতে তারা সক্রিয় আর তাদের আছে অসাধারণ নেটওয়ার্কিং বা কাছে টানার ক্ষমতা।

মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে সাধারণত জাতির মিনি আদল হিসেবে দেখানো হয়। তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেন তো আপনি আয়নামহলে বন্দী হয়ে পড়লেন। আয়নামহলের আয়নায় আপনি তখন নিজের ছবিই দেখবেন, আর কাউকে দেখতে পাবেন না। অনুগতরা যত বড় আয়নাই আপনার সামনে মেলে ধরুক, তা বাস্তবতার ছবি তুলে ধরবে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী”

কোটা আন্দোলন এবং উঠতি মধ্যবিত্তের ধিকিধিকি মন

আপডেট টাইম ১১:৩৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮

বলপ্রয়োগ ছাড়াও রাজনীতি ও সরকার পরিচালনার আরও অনেক উপায় আছে। মধ্যযুগের রাজ্যশাসন থেকে আধুনিক রাষ্ট্রাচার সেখানেই কিছুটা আলাদা। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস যেন বলপ্রয়োগেরই ইতিহাস। বলপ্রয়োগ ছাড়া কোনো বিবাদ–বিতর্কের মীমাংসাই হয় না। শুধু রাষ্ট্রে নয়, জনগণের মধ্যেও এই বাতিক রয়ে গেছে। গায়ের জোরে কৃষকদের দমন করা যায়, শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ রাখা যায়, কিন্তু ছাত্রসমাজকে মেরে-কেটে মোকাবিলা করাটা একটু জটিলই বটে। কারণটা খুবই স্পষ্ট, অহিংস ছাত্রছাত্রীরা জাতির সন্তান। তাদের বিষয়ে জনগণের মনে ঐতিহাসিক আবেগ ও স্পর্শকাতরতা আছে। বলপ্রয়োগ ছাড়া মীমাংসার অন্য পথগুলো তাই খোলা রাখা দরকার।

গরিব-মেহনতি বা নিম্নমধ্যবিত্ত, যে শ্রেণি থেকেই ছাত্রছাত্রীরা আসুক, তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়টা মধ্যবিত্তের। যত পেছন থেকেই রওনা করুক না কেন, শিক্ষার সিঁড়ি তরুণ-তরুণীদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাতারে নিয়ে আসে। মধ্যবিত্ত পুস্তকের প্রচ্ছদে সেই শ্রেণির তরুণদের ইমেজই ভাসে। আর মধ্যবিত্তই তো জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করার ঐতিহাসিক দাবিদার। সমাজের সব নড়াচড়ার যোগসূত্র ও মধ্যস্থতাকারী কিন্তু মধ্যবিত্তরাই। মধ্যে থাকার সুবাদে জনগণের আর সব অংশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ, মানুষ তাদের কথা শোনে। তারা কথা বলে, সামাজিক জমায়েতে তারা সক্রিয় আর তাদের আছে অসাধারণ নেটওয়ার্কিং বা কাছে টানার ক্ষমতা।

মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে সাধারণত জাতির মিনি আদল হিসেবে দেখানো হয়। তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেন তো আপনি আয়নামহলে বন্দী হয়ে পড়লেন। আয়নামহলের আয়নায় আপনি তখন নিজের ছবিই দেখবেন, আর কাউকে দেখতে পাবেন না। অনুগতরা যত বড় আয়নাই আপনার সামনে মেলে ধরুক, তা বাস্তবতার ছবি তুলে ধরবে না।