ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপ “নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী” বাকেরগঞ্জে জমিসহ আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছেন আরও ২৭৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার “বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের “ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন” প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ” সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ যোগ্য নাগরিক গড়ে: মেয়র জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এসিল্যান্ড নাজমুল হুদার হস্তক্ষেপে নির্মিত হচ্ছে ব্রীজ সাপুড়ের কাছ থেকে উদ্ধার করে বনে ছাড়া হলো ৫ সাপ। কুয়াকাটায় পর্যটকদের বিনোদনে যোগ হলো বিমানাকৃতির গাড়ি। হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক ২ সিলেট জুড়ে বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে চা বাগান গুলোতে

কাঁধে স্কুল ব্যাগ থাকার কথা, এর বদলে গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :   স্বপ্ন দেখতে সবাই ভালোবাসে, কিন্তু অভাব পিছু না হটলে স্বপ্ন পূরণ করা করো পক্ষে সম্ভব হয় না বরং স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। পরিবারে সবার খরচ যোগাতে স্কুলে না গিয়ে অল্প বয়সেই ডিম বিক্রি করছে হিলির ছোট ছোট শিশুরা।

যে বয়সে বই হাতে স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সাথে ছোটাছুটি করার কথা, আজ সেই বয়সে হিলি সীমান্ত এলাকার জেমস নামের এক শিশুর পড়াশুনোর ইচ্ছা থাকলেও সংসারে অভাবের কারনে গলায় ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে শহরের অলি-গলিতে ডিম বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। জেমসের কাঁধে স্কুল ব্যাগ নয়, এখন গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমান্ত এলাকা হিলি স্থলবন্দর শহরে কাঁধে ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে অলি-গলিতে পায়ে হেঁটে হেঁটে ডিম বিক্রি করছে শিশু জেমস। জেমস হাকিমপুর পৌরসভার মধ্যবাসুদেবপুর কালিগঞ্জ গ্রামের জাহানারা বেগমের ছেলে। জাহানারা বেগমের পাচঁ সন্তানের মাঝে পাচঁ বছর বয়সের তৃতীয় ছেলে জেমস এখন সংসারের অভাব কারনে বন্দর এলাকায় ডিম বিক্রেতা।

হিলি গোডাউন মোড়ের পান দোকানদার রেজাউল করিম জানান, জেমস গলায় ভারি ডিমের ডালা ঝুলিয়ে বাজারে যখন ডিম বিক্রি করে তখন তাকে দেখে কষ্ট হয়। আমার দোকানের সামনে প্রতিদিন তাকে ডিম বিক্রি করতে দেখি, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি তাকে সাহায্য করে তাহলেই সে কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের মত স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতে পারতো।

জেমস বলেন, আমরা পাচঁ ভাইবোন আমি তৃতীয় নাম্বার। মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা আর একটা বিয়ে করেছে আমাদের আর খোজঁ-খবর নেয় না। মা একা সংসার চালাতে পারে না। মায়ের কাজের টাকা আর আমার ডিম বিক্রির টাকা দিয়েই চলে আমাদের সংসার।

জেমসের মা জাহানারা বলেন, সে মেধাবী ছেলে, কি আর করার বা হামারো তো পেটে খিদা আছে, তাই কামকাজ করে খেতে হবে। হামার আবার স্কুল কলেজ আছে বা, হারাই ভাত খাওয়ার টেকাই পাই না। ছেলেটি উপরে সংসারটি চলে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপ

কাঁধে স্কুল ব্যাগ থাকার কথা, এর বদলে গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা

আপডেট টাইম ০২:২৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :   স্বপ্ন দেখতে সবাই ভালোবাসে, কিন্তু অভাব পিছু না হটলে স্বপ্ন পূরণ করা করো পক্ষে সম্ভব হয় না বরং স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। পরিবারে সবার খরচ যোগাতে স্কুলে না গিয়ে অল্প বয়সেই ডিম বিক্রি করছে হিলির ছোট ছোট শিশুরা।

যে বয়সে বই হাতে স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সাথে ছোটাছুটি করার কথা, আজ সেই বয়সে হিলি সীমান্ত এলাকার জেমস নামের এক শিশুর পড়াশুনোর ইচ্ছা থাকলেও সংসারে অভাবের কারনে গলায় ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে শহরের অলি-গলিতে ডিম বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। জেমসের কাঁধে স্কুল ব্যাগ নয়, এখন গলায় ঝুলছে ডিমের ডালা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমান্ত এলাকা হিলি স্থলবন্দর শহরে কাঁধে ডিমের ডালা ঝুলিয়ে নিয়ে অলি-গলিতে পায়ে হেঁটে হেঁটে ডিম বিক্রি করছে শিশু জেমস। জেমস হাকিমপুর পৌরসভার মধ্যবাসুদেবপুর কালিগঞ্জ গ্রামের জাহানারা বেগমের ছেলে। জাহানারা বেগমের পাচঁ সন্তানের মাঝে পাচঁ বছর বয়সের তৃতীয় ছেলে জেমস এখন সংসারের অভাব কারনে বন্দর এলাকায় ডিম বিক্রেতা।

হিলি গোডাউন মোড়ের পান দোকানদার রেজাউল করিম জানান, জেমস গলায় ভারি ডিমের ডালা ঝুলিয়ে বাজারে যখন ডিম বিক্রি করে তখন তাকে দেখে কষ্ট হয়। আমার দোকানের সামনে প্রতিদিন তাকে ডিম বিক্রি করতে দেখি, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি তাকে সাহায্য করে তাহলেই সে কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের মত স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতে পারতো।

জেমস বলেন, আমরা পাচঁ ভাইবোন আমি তৃতীয় নাম্বার। মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা আর একটা বিয়ে করেছে আমাদের আর খোজঁ-খবর নেয় না। মা একা সংসার চালাতে পারে না। মায়ের কাজের টাকা আর আমার ডিম বিক্রির টাকা দিয়েই চলে আমাদের সংসার।

জেমসের মা জাহানারা বলেন, সে মেধাবী ছেলে, কি আর করার বা হামারো তো পেটে খিদা আছে, তাই কামকাজ করে খেতে হবে। হামার আবার স্কুল কলেজ আছে বা, হারাই ভাত খাওয়ার টেকাই পাই না। ছেলেটি উপরে সংসারটি চলে।