ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বিএনপির মধ্যেই সংকট : তথ্যমন্ত্রী” টাঙ্গাইলে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং নড়াইলে চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে ১১ জন ইউপি সদস্য মালদ্বীপে জমকালো আয়োজনে আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি রাসেল আহমেদের জন্মদিন পালন। দেশের ৪৯৩ টি উপজেলায় ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি পরিবারকে বিনামূল্যে জমি সহ ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী বাউফলে কিশোর গং এর হাতে জোড়া খুন আহত ১। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিঘলিয়া, খুলনার আয়োজনে কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। আব্দুল মালেক স্মৃতি একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়ার পুরুস্কার বিতরন ও বৃত্তির সনদ প্রদান অনুষ্ঠিত সাদিকুর রহমান সেন্টুসহ সোনারগাঁ বিএনপির ৪ নেতা কারাগারে

কম টাকায় সোনার বার কিনে দেওয়া কথা বলে প্রতারণা

মাসুদ হাসান রিদম :  শুল্ক বিভাগের জব্দ করা সোনা কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ  লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।  এই চক্রটি নিজেদের শুল্ক বিভাগের সহকারি কমিশনার পরিচয়ও দিত তারা। পাঁচ বছর আগে একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতারণাই ছিল তাদের মূল কাজ।  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময়ে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের  বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ জান্নাত আরা।
এমন অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি  বুধবার রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের নবাবি ভোজের সামনে থেকে এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শুল্ক কমিশনার হিসেবে পরিচয়দানকারি খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন, তার দুই ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার এবং  সাইফুল ইসলাম।  এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ১৮ টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি ব্যাংকের চেকের পাতা, সাতটি মোবাইল ও ১৩ টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেইলি রোড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা শুল্ক বিভাগের  জব্দকরা সোনার বার কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।  ওমর মবিন মোবাইলে পাওয়া  মৃনাল নামের এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানাযায়, তাকে নিলামে মাল কিনে দেবে বলে গত ৬ জানুয়ারি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আসামি ওমর মবিনের মোবাইলের হোয়াট অ্যাপের মেসেজে ৪০ কোটি টাকার চেকের কপি ও অসংখ্য ফাঁকা চেকের কপি পাওয়া যায়।
সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কখনও নিজেদের শুল্ক বিভাগের কমিশনার কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ভিকটিম সিআইডির সাথে যোগাযোগ করেছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন পাঁচ থেকে সাত বছর আগে একজন সংসদ সদস্যের পিএস হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হন। এই চক্রটি রাজধানীর বড় বড় হোটেলে খাবার খেতে যেতেন যাতে তার প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা যাতে বুঝতে পারে এরা বড় মাপের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের আজ আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব ফারহান,   রুহুল আমিন এবং উপপরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

“বিএনপির মধ্যেই সংকট : তথ্যমন্ত্রী”

কম টাকায় সোনার বার কিনে দেওয়া কথা বলে প্রতারণা

আপডেট টাইম ১১:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৯
মাসুদ হাসান রিদম :  শুল্ক বিভাগের জব্দ করা সোনা কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ  লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।  এই চক্রটি নিজেদের শুল্ক বিভাগের সহকারি কমিশনার পরিচয়ও দিত তারা। পাঁচ বছর আগে একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতারণাই ছিল তাদের মূল কাজ।  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময়ে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের  বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ জান্নাত আরা।
এমন অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি  বুধবার রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের নবাবি ভোজের সামনে থেকে এই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শুল্ক কমিশনার হিসেবে পরিচয়দানকারি খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন, তার দুই ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার এবং  সাইফুল ইসলাম।  এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ১৮ টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি ব্যাংকের চেকের পাতা, সাতটি মোবাইল ও ১৩ টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেইলি রোড থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা শুল্ক বিভাগের  জব্দকরা সোনার বার কম টাকায় নিলামে কিনে দেবে বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।  ওমর মবিন মোবাইলে পাওয়া  মৃনাল নামের এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানাযায়, তাকে নিলামে মাল কিনে দেবে বলে গত ৬ জানুয়ারি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আসামি ওমর মবিনের মোবাইলের হোয়াট অ্যাপের মেসেজে ৪০ কোটি টাকার চেকের কপি ও অসংখ্য ফাঁকা চেকের কপি পাওয়া যায়।
সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কখনও নিজেদের শুল্ক বিভাগের কমিশনার কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ভিকটিম সিআইডির সাথে যোগাযোগ করেছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত খন্দকার মো. ফারুক ওরফে ওমর মবিন পাঁচ থেকে সাত বছর আগে একজন সংসদ সদস্যের পিএস হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হন। এই চক্রটি রাজধানীর বড় বড় হোটেলে খাবার খেতে যেতেন যাতে তার প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা যাতে বুঝতে পারে এরা বড় মাপের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের আজ আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কয়ার্ডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব ফারহান,   রুহুল আমিন এবং উপপরিদর্শক নিউটন কুমার দত্ত।