ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক কবির চৌধুরী ছিলেন দলের একজন পরীক্ষিত সৈনিক কালিয়াকৈরে মসজিদের ধানকে কেন্দ্র করে আহত আট। চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডয়ে করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধন অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রিফাত শিকদার বাস-সিএনজি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত “মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন

কন্ঠশিল্পী জিএম রহমান রনি একজন স্বার্থপর বিদায়ী জেলা কালচারাল অফিসার

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ আর্টিস্ট ফাউন্ডেশনের আহবায়ক কন্ঠশিল্পী জিএম রহমান রনি একজন স্বার্থপর। নিজের স্বার্থ ছাড়া সে কিছুই ভাবতে পারেননা। কথাগুলো অত্যন্ত অক্ষেপের সঙ্গে বলেছেন নারায়ণগঞ্জের সদ্য বিদায়ী জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দা শাহিদা বেগম। শুক্রবার বেলা ১২টায় শহরের আমলাপাড়া গার্লস স্কুলের হলরুমে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র প্রশিক্ষকদের উদ্যোগে আয়োজিত বিদায়ী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা শাহিদা বেগম আরো বলেন,নারায়ণগঞ্জের মানুষ খুবই ভাল। তার অনেক আন্তরিক। আমার সঙ্গে শুধুমাত্র একজন শিল্পী ব্যাতিত সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল আর সেই একজনই হলে জিএম রহমান রনি। এই রনি একজন শিল্পী দাবি করলেও তার কাছ থেকে শিল্পীসূলভ কোন আচরনই আমি পাইনি। তিনি যখন শিল্পকলা একাডেমি’র গানের শিক্ষক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তখন তার কথামতো কাজ করতে হতো নইলে কোন না কোন সমস্যা করে রাখতো। একবার একটি জাতীয় প্রোগ্রামে তার সাউন্ড ভাড়া না নেয়ায় সে আমাদের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করেন। কি-বোর্ড লক করে রেখেছিলেন। ১ঘন্টা সময় পার হওয়ার পরও প্রোগ্রাম শুরু করতে পারিনি। উপায়ন্তর না পেয়ে আমজাদ ভাইকে কল দিয়ে তাকে এনে কি-বোর্ডের লক ছুটিয়ে তারপর গান শুরু হয়। আর সব সময় তার লোকজনদেরকেই গান গাওয়াতো অন্য শিল্পীদের কোন সুযোগই সে দিতে চাইতোনা। আর রনি থাকাকালে প্রতিদিনই আমাদের শিল্পকলায় ঝগড়া হতো। বিষয়টি এক পর্যায়ে ডিসি স্যার এবং ডিজি স্যারের নলেজে গেলে তারা মুহুর্তের মধ্যে রনির চুক্তি বাতিল করে দেন। তাকে বাদ দেয়ার পর কই এখনতো একদিনও ঝগড়া কিংবা মনোমালিন্যতা হয়না। বিদায় বেলা এসব কথা বলা ঠিকনা তারপরও সবাই আমাকে এতোদিন হয়তো ভুল বুঝতে পারেন তাই প্রকৃত বিষয়টা তুলে ধরলাম। যদিও এ সময় এ বিষয়গুলো তোলার কথা না তারপরও আক্ষেপটা চেপে রাখতে পারলামনা। তাছাড়া আমিতো এখন আর নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলার অধীনে নেই,ঢাকা শিল্পকলায় আছি সুতরাং অতো হিসেব করে লাভ নেই। যা সত্যি তা বলতেই হবে। রনি একজন খুবই স্বার্থপর। বিদায়ী সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকারী জেলা কালচারাল অফিসার রুনা লায়লা,৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বাবু চন্দন শীল,বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ঢাকা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা,নারায়ণগঞ্জ জেলা নাট্যকর্মী জোটের আহবায়ক বাহাউদ্দিন বুলু,সাধারণ সম্পাদক মীর আনোয়ার হোসেন,বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি’র সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,নাট্য ব্যাক্তিত্ব এম আর হায়দার রানা,কন্ঠশিল্পী নাজমা সুলতানা,আমজাদ হোসেন,সানজিদা নাহার বেলাসহ অন্যান্য শিল্পী,কলাকূশলী ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।

Tag :

চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক

কন্ঠশিল্পী জিএম রহমান রনি একজন স্বার্থপর বিদায়ী জেলা কালচারাল অফিসার

আপডেট টাইম ০৫:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ আর্টিস্ট ফাউন্ডেশনের আহবায়ক কন্ঠশিল্পী জিএম রহমান রনি একজন স্বার্থপর। নিজের স্বার্থ ছাড়া সে কিছুই ভাবতে পারেননা। কথাগুলো অত্যন্ত অক্ষেপের সঙ্গে বলেছেন নারায়ণগঞ্জের সদ্য বিদায়ী জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দা শাহিদা বেগম। শুক্রবার বেলা ১২টায় শহরের আমলাপাড়া গার্লস স্কুলের হলরুমে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র প্রশিক্ষকদের উদ্যোগে আয়োজিত বিদায়ী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা শাহিদা বেগম আরো বলেন,নারায়ণগঞ্জের মানুষ খুবই ভাল। তার অনেক আন্তরিক। আমার সঙ্গে শুধুমাত্র একজন শিল্পী ব্যাতিত সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল আর সেই একজনই হলে জিএম রহমান রনি। এই রনি একজন শিল্পী দাবি করলেও তার কাছ থেকে শিল্পীসূলভ কোন আচরনই আমি পাইনি। তিনি যখন শিল্পকলা একাডেমি’র গানের শিক্ষক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তখন তার কথামতো কাজ করতে হতো নইলে কোন না কোন সমস্যা করে রাখতো। একবার একটি জাতীয় প্রোগ্রামে তার সাউন্ড ভাড়া না নেয়ায় সে আমাদের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করেন। কি-বোর্ড লক করে রেখেছিলেন। ১ঘন্টা সময় পার হওয়ার পরও প্রোগ্রাম শুরু করতে পারিনি। উপায়ন্তর না পেয়ে আমজাদ ভাইকে কল দিয়ে তাকে এনে কি-বোর্ডের লক ছুটিয়ে তারপর গান শুরু হয়। আর সব সময় তার লোকজনদেরকেই গান গাওয়াতো অন্য শিল্পীদের কোন সুযোগই সে দিতে চাইতোনা। আর রনি থাকাকালে প্রতিদিনই আমাদের শিল্পকলায় ঝগড়া হতো। বিষয়টি এক পর্যায়ে ডিসি স্যার এবং ডিজি স্যারের নলেজে গেলে তারা মুহুর্তের মধ্যে রনির চুক্তি বাতিল করে দেন। তাকে বাদ দেয়ার পর কই এখনতো একদিনও ঝগড়া কিংবা মনোমালিন্যতা হয়না। বিদায় বেলা এসব কথা বলা ঠিকনা তারপরও সবাই আমাকে এতোদিন হয়তো ভুল বুঝতে পারেন তাই প্রকৃত বিষয়টা তুলে ধরলাম। যদিও এ সময় এ বিষয়গুলো তোলার কথা না তারপরও আক্ষেপটা চেপে রাখতে পারলামনা। তাছাড়া আমিতো এখন আর নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলার অধীনে নেই,ঢাকা শিল্পকলায় আছি সুতরাং অতো হিসেব করে লাভ নেই। যা সত্যি তা বলতেই হবে। রনি একজন খুবই স্বার্থপর। বিদায়ী সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকারী জেলা কালচারাল অফিসার রুনা লায়লা,৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বাবু চন্দন শীল,বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ঢাকা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা,নারায়ণগঞ্জ জেলা নাট্যকর্মী জোটের আহবায়ক বাহাউদ্দিন বুলু,সাধারণ সম্পাদক মীর আনোয়ার হোসেন,বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি’র সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,নাট্য ব্যাক্তিত্ব এম আর হায়দার রানা,কন্ঠশিল্পী নাজমা সুলতানা,আমজাদ হোসেন,সানজিদা নাহার বেলাসহ অন্যান্য শিল্পী,কলাকূশলী ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।