ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বিএনপির মধ্যেই সংকট : তথ্যমন্ত্রী” টাঙ্গাইলে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং নড়াইলে চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে ১১ জন ইউপি সদস্য মালদ্বীপে জমকালো আয়োজনে আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি রাসেল আহমেদের জন্মদিন পালন। দেশের ৪৯৩ টি উপজেলায় ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি পরিবারকে বিনামূল্যে জমি সহ ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী বাউফলে কিশোর গং এর হাতে জোড়া খুন আহত ১। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিঘলিয়া, খুলনার আয়োজনে কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। আব্দুল মালেক স্মৃতি একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়ার পুরুস্কার বিতরন ও বৃত্তির সনদ প্রদান অনুষ্ঠিত সাদিকুর রহমান সেন্টুসহ সোনারগাঁ বিএনপির ৪ নেতা কারাগারে

এতো বড় জয় কারচুপির মাধ্যমে সম্ভব না: জয়

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় হয়েছে। ভরা ডুবি হয়েছে বিএনপির। কেন এমনটি হলো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ বেশি ভোট পেয়েছে। এত বড় ব্যবধানের জয় কখনোই কারচুপির মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব না।

আজ শনিবার তার ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি একথা বলেছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ফলাফলে ভূমিধস জয় পায় আওয়ামী লীগ। চরম ভরাডুবি হয় বিএনপি জোটের। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন। বিএনপি জোট মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে, যা মোট ভোটের প্রায় ১৩ ভাগ। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছে এবারের নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি হয়েছে। সরকারি দলের নেতাকর্মী এবং প্রশাসন মিলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের কারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করে লিখেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ ও লবিংয়ের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চাইছে যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, যা পরিসংখ্যান মোতাবেক একেবারেই অসম্ভব। আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে প্রায় চার কোটি ৯০ লক্ষ বেশি ভোট পেয়েছে। এত বড় ব্যবধানের জয় কখনোই কারচুপির মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব না। তারা বলছে ভয় ভীতির কথা, কিন্তু যদি আমরা ধরেও নিই আওয়ামী লীগের বাইরের সকল ভোট বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যেত, তাহলেও দুই কোটি ২০ লক্ষ ভোটের ব্যবধান থাকতো বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে।

জয় লিখেছেন, তাদের প্রথম অভিযোগ, ভোটার সংখ্যা ছিল অত্যাধিক, তার মানে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। এবার ভোট দেয়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ নয়। ২০০৮ সালের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীনে নির্বাচনে ভোট দেয়ার হার ছিল ৮৭ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। সেই নির্বাচনটিতেও আওয়ামী লীগ ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। ২০০১ সালে ভোট দেয়ার হার ছিল ৭৫.৬ শতাংশ আর ১৯৯৬ সালে ছিল ৭৫ শতাংশ। ওই দুইটি নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোট দেয়ার হার সামান্য বেশি ছিল কারণ এক দশকে এটাই ছিল প্রথম অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন।

জয় লিখেন, দ্বিতীয় অপপ্রচার হচ্ছে আওয়ামী লীগ নাকি এবার ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৭২ শতাংশ। মহাজোটের অন্যান্য শরিকরা পেয়েছে ৫ শতাংশের কম ভোট। এই ৭২ শতাংশও আওয়ামী লীগের এর জন্য সর্বোচ্চ না। কারণ ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৭৩.২ শতাংশ ভোট।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় দাবি করেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বি, এ কারণে নজিরবিহীন জয় পেয়েছে দলটি। আর দুর্নীতির কারণে বিএনপিকে জনগণ ভোট দেয়নি। তাদেরকে জনগণ ক্ষমতায় আসার মতো যোগ্য দল মনে করেনি।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

“বিএনপির মধ্যেই সংকট : তথ্যমন্ত্রী”

এতো বড় জয় কারচুপির মাধ্যমে সম্ভব না: জয়

আপডেট টাইম ১২:২০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় হয়েছে। ভরা ডুবি হয়েছে বিএনপির। কেন এমনটি হলো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ বেশি ভোট পেয়েছে। এত বড় ব্যবধানের জয় কখনোই কারচুপির মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব না।

আজ শনিবার তার ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি একথা বলেছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ফলাফলে ভূমিধস জয় পায় আওয়ামী লীগ। চরম ভরাডুবি হয় বিএনপি জোটের। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন। বিএনপি জোট মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে, যা মোট ভোটের প্রায় ১৩ ভাগ। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছে এবারের নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি হয়েছে। সরকারি দলের নেতাকর্মী এবং প্রশাসন মিলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের কারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করে লিখেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ ও লবিংয়ের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চাইছে যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, যা পরিসংখ্যান মোতাবেক একেবারেই অসম্ভব। আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে প্রায় চার কোটি ৯০ লক্ষ বেশি ভোট পেয়েছে। এত বড় ব্যবধানের জয় কখনোই কারচুপির মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব না। তারা বলছে ভয় ভীতির কথা, কিন্তু যদি আমরা ধরেও নিই আওয়ামী লীগের বাইরের সকল ভোট বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যেত, তাহলেও দুই কোটি ২০ লক্ষ ভোটের ব্যবধান থাকতো বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে।

জয় লিখেছেন, তাদের প্রথম অভিযোগ, ভোটার সংখ্যা ছিল অত্যাধিক, তার মানে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। এবার ভোট দেয়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ নয়। ২০০৮ সালের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীনে নির্বাচনে ভোট দেয়ার হার ছিল ৮৭ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। সেই নির্বাচনটিতেও আওয়ামী লীগ ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। ২০০১ সালে ভোট দেয়ার হার ছিল ৭৫.৬ শতাংশ আর ১৯৯৬ সালে ছিল ৭৫ শতাংশ। ওই দুইটি নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোট দেয়ার হার সামান্য বেশি ছিল কারণ এক দশকে এটাই ছিল প্রথম অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন।

জয় লিখেন, দ্বিতীয় অপপ্রচার হচ্ছে আওয়ামী লীগ নাকি এবার ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৭২ শতাংশ। মহাজোটের অন্যান্য শরিকরা পেয়েছে ৫ শতাংশের কম ভোট। এই ৭২ শতাংশও আওয়ামী লীগের এর জন্য সর্বোচ্চ না। কারণ ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৭৩.২ শতাংশ ভোট।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় দাবি করেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বি, এ কারণে নজিরবিহীন জয় পেয়েছে দলটি। আর দুর্নীতির কারণে বিএনপিকে জনগণ ভোট দেয়নি। তাদেরকে জনগণ ক্ষমতায় আসার মতো যোগ্য দল মনে করেনি।