ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরাম গঠিত” মতলব উত্তরে পথসভা অনুষ্ঠিত ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয়ের বিকল্প নেই : নুরুল আমিন রুহুল এমপি চট্টগ্রাম মাদারবাড়ী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের হাজী মোক্তার আহমেদের শুভ সূচনা নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ আতাউর রহমান ছেংগারচর পৌরসভার নির্বাচন ২০২৩ নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে —নুরুল আমিন রুহুল এমপি চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক কবির চৌধুরী ছিলেন দলের একজন পরীক্ষিত সৈনিক কালিয়াকৈরে মসজিদের ধানকে কেন্দ্র করে আহত আট। চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডয়ে করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধন অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রিফাত শিকদার

ইভিএম কেনাসহ ৩৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাস

বহুল আলোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প পাস করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি পাস করা হয়। নির্বাচনী ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মোট দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে।

শেরেবাংলা নগরের এনইসির সম্মেলনকক্ষে একনেকের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি সম্পর্কে অনুশাসন দিয়েছেন যে ইভিএম ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নগর এলাকায় ব্যবহার করা হবে, পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ব্যবহার করা হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না—জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে আরপিও সংশোধন করতে হবে।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। সেখানেই তিন ধাপে ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেনার এই প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। গত ১৯ আগস্ট বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।

প্রকল্প দলিল থেকে জানা গেছে, ইভিএম তৈরির জন্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্ব কারিগরি ও পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) নমুনা ইভিএম তৈরি করেছে।

২০১১ সালের পর কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে পুরোদমে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে আরপিও সংশোধন করতে হবে।

আজ একনেকে এই প্রকল্পটিসহ মোট ১৪টি প্রকল্প পাস করা হয়। এতে খরচ হবে ১২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া হবে ৮ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। আর বিদেশি সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ২৫৭ কোটি টাকা।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ৭৫০ কোটি টাকার মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল; ২৫৩ কোটি টাকার শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি স্থাপন; ৫২৮ কোটি টাকার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়কের হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত করা; ১২৯ কোটি টাকার জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক প্রশস্ত ও মজবুত করা; ৪৬১ কোটি টাকার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন; ৮০ কোটি টাকার ভারতের সঙ্গে রেলসংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ; ১৫৭ কোটি টাকার গোপালগঞ্জ জেলায় বিএআরআইয়ের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন; ১১২ কোটি টাকার বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর কৃষি উন্নয়ন; ৮৩ কোটি টাকার গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন; ২৫৮ কোটি টাকার জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা; ১১৩ কোটি টাকার শাহবাগের বাংলাদেশ বেতার কমপ্লেক্স আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন; ৮২৪ কোটি টাকার খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকার প্রোগ্রাম ফল সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্প।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরাম গঠিত”

ইভিএম কেনাসহ ৩৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাস

আপডেট টাইম ১২:২৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বহুল আলোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প পাস করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি পাস করা হয়। নির্বাচনী ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মোট দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে।

শেরেবাংলা নগরের এনইসির সম্মেলনকক্ষে একনেকের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি সম্পর্কে অনুশাসন দিয়েছেন যে ইভিএম ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নগর এলাকায় ব্যবহার করা হবে, পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ব্যবহার করা হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না—জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে আরপিও সংশোধন করতে হবে।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। সেখানেই তিন ধাপে ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেনার এই প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। গত ১৯ আগস্ট বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।

প্রকল্প দলিল থেকে জানা গেছে, ইভিএম তৈরির জন্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্ব কারিগরি ও পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) নমুনা ইভিএম তৈরি করেছে।

২০১১ সালের পর কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে পুরোদমে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে আরপিও সংশোধন করতে হবে।

আজ একনেকে এই প্রকল্পটিসহ মোট ১৪টি প্রকল্প পাস করা হয়। এতে খরচ হবে ১২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া হবে ৮ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। আর বিদেশি সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ২৫৭ কোটি টাকা।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ৭৫০ কোটি টাকার মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল; ২৫৩ কোটি টাকার শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি স্থাপন; ৫২৮ কোটি টাকার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়কের হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত করা; ১২৯ কোটি টাকার জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক প্রশস্ত ও মজবুত করা; ৪৬১ কোটি টাকার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন; ৮০ কোটি টাকার ভারতের সঙ্গে রেলসংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ; ১৫৭ কোটি টাকার গোপালগঞ্জ জেলায় বিএআরআইয়ের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন; ১১২ কোটি টাকার বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর কৃষি উন্নয়ন; ৮৩ কোটি টাকার গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন; ২৫৮ কোটি টাকার জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা; ১১৩ কোটি টাকার শাহবাগের বাংলাদেশ বেতার কমপ্লেক্স আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন; ৮২৪ কোটি টাকার খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকার প্রোগ্রাম ফল সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্প।