ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক কবির চৌধুরী ছিলেন দলের একজন পরীক্ষিত সৈনিক কালিয়াকৈরে মসজিদের ধানকে কেন্দ্র করে আহত আট। চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডয়ে করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধন অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রিফাত শিকদার বাস-সিএনজি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত “মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন

আ. লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক:   আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে সংবিধানের বাইরে গিয়ে আলোচনা বা সিদ্ধান্তে নারাজ আওয়ামী লীগ। আর ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা বলেছেন, তাদের প্রধান কামাল হোসেন সংবিধানের ভেতরে থেকেই একটি ব্যাখ্যা করবেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপ নয়, এমন অবস্থান থেকে সরে এসে সোমবার চমক দেয় আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, তারা সংলাপের প্রস্তাবে রাজি।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে গঠন করা ঐক্যফ্রন্ট আগের দিন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে।

মঙ্গলবার শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেনকে চিঠি দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে তার জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে সেই চিঠিতে বলা হয়, আলোচনা হবে সংবিধানসম্মত সব বিষয় নিয়ে।

চিঠির ভাষা এমন, আপনার ২৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখের পত্রের জন্য ধন্যবাদ। অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধানসম্মত সকল বিষয়ে আলোচনার জন্য আমার দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত। তাই, আলোচনার জন্য আপনি যে সময় চেয়েছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ সন্ধ্যা সাতটায় আপনাদের আমি গণভবনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চান। এই কথা তিনি বারবার বলেছেন। এ জন্য ছাড় দিতেও তার আপত্তি নেই। তবে সংবিধানের বাইরে কোনো কিছু করা হবে না-এটা তিনি চিঠিতেই স্পষ্ট করেছেন।

নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যে বিরোধ সেটা হলো ভোটের সময় কোন সরকার থাকবে ক্ষমতায়। উচ্চ আদালতের রায়ে আওয়ামী লীগের আগের আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু সে ব্যবস্থা মেনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট এবং সমমনারা দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে।

২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনকারীরা এবার ভোটে আসবে কি না, এই বিষয়টিও এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ অক্টোবর গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফা দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যেও এই বিষয়টি আছে।

ফ্রন্টের দাবির মধ্যে কিছু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট, কিছু নির্বাচনের বাইরে। এর মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু দাবি মানতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এর মধ্যে আছে, সরকারের পদত্যাগ এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া-ইত্যাদি।

এর বাইরে আছে ‘গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার না করা, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ভোটের আগে নতুন করে মামলা না দেয়া-ইত্যাদি।

এখন সংবিধান সংশোধনের মতো সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ যাবে কি না-এমন প্রশ্নে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, ‘এটা তো চিঠিতেই স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী সংবিধানসম্মত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান। তার মানে তো এই হয় যে সংবিধানের বাইরে যাবেন না তিনি। তবে যেহেতু বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তাই আমার আর কিছু না বলা ভালো।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এই সংলাপ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগ চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন। এই সংলাপের মাধ্যমে আশা করি সেই পথটা সুগম হবে।

Tag :

চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক

আ. লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না

আপডেট টাইম ০৪:১৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক:   আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে সংবিধানের বাইরে গিয়ে আলোচনা বা সিদ্ধান্তে নারাজ আওয়ামী লীগ। আর ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা বলেছেন, তাদের প্রধান কামাল হোসেন সংবিধানের ভেতরে থেকেই একটি ব্যাখ্যা করবেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপ নয়, এমন অবস্থান থেকে সরে এসে সোমবার চমক দেয় আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, তারা সংলাপের প্রস্তাবে রাজি।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে গঠন করা ঐক্যফ্রন্ট আগের দিন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে।

মঙ্গলবার শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেনকে চিঠি দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে তার জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে সেই চিঠিতে বলা হয়, আলোচনা হবে সংবিধানসম্মত সব বিষয় নিয়ে।

চিঠির ভাষা এমন, আপনার ২৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখের পত্রের জন্য ধন্যবাদ। অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধানসম্মত সকল বিষয়ে আলোচনার জন্য আমার দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত। তাই, আলোচনার জন্য আপনি যে সময় চেয়েছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ সন্ধ্যা সাতটায় আপনাদের আমি গণভবনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চান। এই কথা তিনি বারবার বলেছেন। এ জন্য ছাড় দিতেও তার আপত্তি নেই। তবে সংবিধানের বাইরে কোনো কিছু করা হবে না-এটা তিনি চিঠিতেই স্পষ্ট করেছেন।

নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যে বিরোধ সেটা হলো ভোটের সময় কোন সরকার থাকবে ক্ষমতায়। উচ্চ আদালতের রায়ে আওয়ামী লীগের আগের আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু সে ব্যবস্থা মেনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট এবং সমমনারা দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে।

২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনকারীরা এবার ভোটে আসবে কি না, এই বিষয়টিও এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ অক্টোবর গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফা দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যেও এই বিষয়টি আছে।

ফ্রন্টের দাবির মধ্যে কিছু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট, কিছু নির্বাচনের বাইরে। এর মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু দাবি মানতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এর মধ্যে আছে, সরকারের পদত্যাগ এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া-ইত্যাদি।

এর বাইরে আছে ‘গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার না করা, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ভোটের আগে নতুন করে মামলা না দেয়া-ইত্যাদি।

এখন সংবিধান সংশোধনের মতো সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ যাবে কি না-এমন প্রশ্নে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, ‘এটা তো চিঠিতেই স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী সংবিধানসম্মত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান। তার মানে তো এই হয় যে সংবিধানের বাইরে যাবেন না তিনি। তবে যেহেতু বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তাই আমার আর কিছু না বলা ভালো।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এই সংলাপ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগ চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন। এই সংলাপের মাধ্যমে আশা করি সেই পথটা সুগম হবে।