ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সন্ধান চাই বাকেরগঞ্জ বন্দরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট, আহত-১ টাঙ্গাইলে এসপি’র কাছে থেকে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস ও চকলেট পেলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাঠঠআণ টাঙ্গাইলে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়দানকারী ৪ ডাকাত গ্রেফতার “আসলে বিএনপি নেতারা চায় না বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক : তথ্যমন্ত্রী “ “অভিনেতা খালেকুজ্জামানের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক বাকেরগঞ্জে সাহান আরা আবদুল্লার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত মুরাদনগরে ড্রেজার মেশিন জব্দসহ ৫শ পাইপ বিনষ্ট দেশের সকল ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান – ড.আবদুস সোবহান গোলাপ,এমপি। মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ড্রেজার মেশিন জব্দসহ ৫০০ পাইপ বিশিষ্ট।

আম খেলে ওজন বাড়ে?

বাজারে এখন নানা জাতের সুমিষ্ট আম। আমে উপকার অনেক। কিন্তু ডায়াবেটিসের বা কিডনি রোগীরা আম কতটা খেতে পারবেন তা নিয়ে সংশয়ে ভোগেন। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরাও দুশ্চিন্তায় ভোগেন আম বেশি খেলে ওজন বাড়বে কি না।

আমে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও সি আছে। এর বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে প্রচুর আঁশও আছে। তাই পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো।

একটি সাধারণ হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের খোসা ও আঁটি ছাড়িয়ে নিলে প্রায় ২০০ গ্রাম অবশিষ্ট থাকে। এতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১৫০। শর্করা ৩৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৫০০০ মাইক্রোগ্রামের ওপর। আঁশ আছে প্রচুর, ৭ গ্রামের বেশি। পটাশিয়াম ১৯৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩০২ মিলিগ্রাম, লাইকোপেন ২২.৩ মিলিগ্রাম।

আম খেলে কি শর্করা বাড়ে?

আমে যথেষ্ট শর্করা আছে। ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা পরিমাপ করে খাওয়া উচিত। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মাত্রার, ৬০ থেকে ৮৫। বেশি আম খেলে তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। পাকা মিষ্টি আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম খাওয়া যাবে। অন্যান্য শর্করা (যেমন-ভাত) কমিয়ে দিয়ে এ সময় খাদ্যতালিকায় আম যুক্ত করা যায়।

কিডনি রোগীর কি আম খাওয়া নিষেধ?

কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়াম বাড়তি থাকে। তাই অতিরিক্ত পটাশিয়ামযুক্ত ফল খাওয়া বারণ। যদি রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তবে আম না খাওয়াই ভালো। কিডনি রোগীরা ফল খাওয়ার বেলায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

আম খেলে ওজন বাড়ে?

আমে ক্যালরির পরিমাণ ভালোই। তাই যাঁরা ক্যালরি মেপে খান বা ডায়েট করেন, তাঁরা দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরি পরিমাণ খাবার বাদ দিতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। আম খেলে দ্রুত পেট ভরে ঠিকই, কিন্তু এটি দ্রুত হজম ও শোষণও হয়ে যায়। যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের আম সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।

হৃদ্‌রোগীরা আম খেতে পারবেন?

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হৃদ্‌রোগীদের জন্য উপকারি। তাই ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগ না থাকলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে আম খাওয়া ভালো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ধান চাই

আম খেলে ওজন বাড়ে?

আপডেট টাইম ০৬:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

বাজারে এখন নানা জাতের সুমিষ্ট আম। আমে উপকার অনেক। কিন্তু ডায়াবেটিসের বা কিডনি রোগীরা আম কতটা খেতে পারবেন তা নিয়ে সংশয়ে ভোগেন। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরাও দুশ্চিন্তায় ভোগেন আম বেশি খেলে ওজন বাড়বে কি না।

আমে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও সি আছে। এর বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে প্রচুর আঁশও আছে। তাই পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো।

একটি সাধারণ হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের খোসা ও আঁটি ছাড়িয়ে নিলে প্রায় ২০০ গ্রাম অবশিষ্ট থাকে। এতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১৫০। শর্করা ৩৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৫০০০ মাইক্রোগ্রামের ওপর। আঁশ আছে প্রচুর, ৭ গ্রামের বেশি। পটাশিয়াম ১৯৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩০২ মিলিগ্রাম, লাইকোপেন ২২.৩ মিলিগ্রাম।

আম খেলে কি শর্করা বাড়ে?

আমে যথেষ্ট শর্করা আছে। ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা পরিমাপ করে খাওয়া উচিত। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মাত্রার, ৬০ থেকে ৮৫। বেশি আম খেলে তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। পাকা মিষ্টি আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম খাওয়া যাবে। অন্যান্য শর্করা (যেমন-ভাত) কমিয়ে দিয়ে এ সময় খাদ্যতালিকায় আম যুক্ত করা যায়।

কিডনি রোগীর কি আম খাওয়া নিষেধ?

কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়াম বাড়তি থাকে। তাই অতিরিক্ত পটাশিয়ামযুক্ত ফল খাওয়া বারণ। যদি রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তবে আম না খাওয়াই ভালো। কিডনি রোগীরা ফল খাওয়ার বেলায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

আম খেলে ওজন বাড়ে?

আমে ক্যালরির পরিমাণ ভালোই। তাই যাঁরা ক্যালরি মেপে খান বা ডায়েট করেন, তাঁরা দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরি পরিমাণ খাবার বাদ দিতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। আম খেলে দ্রুত পেট ভরে ঠিকই, কিন্তু এটি দ্রুত হজম ও শোষণও হয়ে যায়। যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের আম সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।

হৃদ্‌রোগীরা আম খেতে পারবেন?

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হৃদ্‌রোগীদের জন্য উপকারি। তাই ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগ না থাকলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে আম খাওয়া ভালো।