ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক কবির চৌধুরী ছিলেন দলের একজন পরীক্ষিত সৈনিক কালিয়াকৈরে মসজিদের ধানকে কেন্দ্র করে আহত আট। চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডয়ে করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধন অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রিফাত শিকদার বাস-সিএনজি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত “মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন

আটোয়ারীতে জনবহুল স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। এ যেন ডেঙ্গু মশা তৈরীর কারখানা !

মোঃ ইউসুফ আলী, আটোয়ারী(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে জনবহুল ও জনগুরুত্বপুর্ণ স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। দেখার কেউ নেই। এ যেন ডেঙ্গু মশা তৈরীর কারখানা। এমন কথা বলছেন উপজেলার সচেতন মহল। জানাগেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জনগুরুত্বপুর্ণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তার বিপরীতে অবস্থিত ফকিরগঞ্জ সরকারি খাদ্য গুদাম। মাঝ দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র পাকা রাস্তা। এ ব্যস্ততম পাকা রাস্তা দিয়ে রাতদিন হাজার হাজার পথচারী ও ছোটবড় যানবাহন নিয়মিত চলাচল করছে। হাসপাতাল ও খাদ্য গুদামের অতি নিকটেই উপজেলার একমাত্র বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র ফকিরগঞ্জ বাজার। বাজার পরিস্কারের জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাজার পরিস্কার করে নির্ধরিত ঠেলা গাড়িতে করে পরিত্যক্ত পলিথিন ,ড্রেনের ময়লাসহ সকল প্রকার ময়লা আবর্জনা হাসপাতালের কাছে খাদ্য গুদামের প্রচীর সংলগ্ন খোলামেলা জায়গায় ভাগার দিয়ে রাখছে। পরিচছন্নতা কর্মীকে ওই স্থানে ময়লা ফেলতে নিষেধ করা হলে সে বলে, বণিক সমিতি এখানে ময়লা ফেলতে বলেছেন। বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক জামিলুর রেজা মানিককে বিষয়টি বলা হলে তিনি বলেন, তাকে বাজার পরিস্কারের দায়িত্ব দিয়েছি কিন্তু ময়লা আবর্জনা ওই জায়গায় ফেলানোর কথা বলিনি। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক। এখানে আবর্জনা ফেললে মশা উৎপাদন হওয়া স্বাভাবিক। নিষেধ করার পরো তারা গুরুত্ব দিচ্ছেনা। এ ময়লা আবর্জনা থাকলে ডেঙ্গু মশা উৎপাদন হবে এবং ডেঙ্গু রোগীর সৃষ্টি হবে। তিনি ক্ষোভে বলেন, যে মহুর্তে দেশে ডেঙ্গুর আতঙ্ক, ঠিক সেই মহুর্তে সরকারি হাসপাতালের কাছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ করা হচ্ছে। ফকিরগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, খাদ্য গুদামের মেইন গেট সংলগ্ন প্রচীর ঘেষে ময়লা আবর্জনার স্তুপের বিষয়টি বণিক সমিতির সভাপতিকে বলেছি। এখনো তিনি ময়লা সরানোর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য লুৎফা বেগম বলেন, আমি বণিক সমিতির সভাপতি কমলেশ চন্দ্র ঘোষকে হাসপাতালের কাছে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়টি বলেছি। তিনি কথা এড়িয়ে যান। সচেতন মহলের মতে জন গুরুত্বপুর্ণ ও জনবহুল স্থানে খোলামেলা ভাবে ময়লা আবর্জনার স্তুপ সরাতে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। অন্যথায় উপজেলাবাসীকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।

Tag :

চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক

আটোয়ারীতে জনবহুল স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। এ যেন ডেঙ্গু মশা তৈরীর কারখানা !

আপডেট টাইম ০৯:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯

মোঃ ইউসুফ আলী, আটোয়ারী(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে জনবহুল ও জনগুরুত্বপুর্ণ স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। দেখার কেউ নেই। এ যেন ডেঙ্গু মশা তৈরীর কারখানা। এমন কথা বলছেন উপজেলার সচেতন মহল। জানাগেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জনগুরুত্বপুর্ণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তার বিপরীতে অবস্থিত ফকিরগঞ্জ সরকারি খাদ্য গুদাম। মাঝ দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র পাকা রাস্তা। এ ব্যস্ততম পাকা রাস্তা দিয়ে রাতদিন হাজার হাজার পথচারী ও ছোটবড় যানবাহন নিয়মিত চলাচল করছে। হাসপাতাল ও খাদ্য গুদামের অতি নিকটেই উপজেলার একমাত্র বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র ফকিরগঞ্জ বাজার। বাজার পরিস্কারের জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাজার পরিস্কার করে নির্ধরিত ঠেলা গাড়িতে করে পরিত্যক্ত পলিথিন ,ড্রেনের ময়লাসহ সকল প্রকার ময়লা আবর্জনা হাসপাতালের কাছে খাদ্য গুদামের প্রচীর সংলগ্ন খোলামেলা জায়গায় ভাগার দিয়ে রাখছে। পরিচছন্নতা কর্মীকে ওই স্থানে ময়লা ফেলতে নিষেধ করা হলে সে বলে, বণিক সমিতি এখানে ময়লা ফেলতে বলেছেন। বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক জামিলুর রেজা মানিককে বিষয়টি বলা হলে তিনি বলেন, তাকে বাজার পরিস্কারের দায়িত্ব দিয়েছি কিন্তু ময়লা আবর্জনা ওই জায়গায় ফেলানোর কথা বলিনি। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক। এখানে আবর্জনা ফেললে মশা উৎপাদন হওয়া স্বাভাবিক। নিষেধ করার পরো তারা গুরুত্ব দিচ্ছেনা। এ ময়লা আবর্জনা থাকলে ডেঙ্গু মশা উৎপাদন হবে এবং ডেঙ্গু রোগীর সৃষ্টি হবে। তিনি ক্ষোভে বলেন, যে মহুর্তে দেশে ডেঙ্গুর আতঙ্ক, ঠিক সেই মহুর্তে সরকারি হাসপাতালের কাছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ করা হচ্ছে। ফকিরগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, খাদ্য গুদামের মেইন গেট সংলগ্ন প্রচীর ঘেষে ময়লা আবর্জনার স্তুপের বিষয়টি বণিক সমিতির সভাপতিকে বলেছি। এখনো তিনি ময়লা সরানোর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য লুৎফা বেগম বলেন, আমি বণিক সমিতির সভাপতি কমলেশ চন্দ্র ঘোষকে হাসপাতালের কাছে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়টি বলেছি। তিনি কথা এড়িয়ে যান। সচেতন মহলের মতে জন গুরুত্বপুর্ণ ও জনবহুল স্থানে খোলামেলা ভাবে ময়লা আবর্জনার স্তুপ সরাতে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। অন্যথায় উপজেলাবাসীকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।