ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিকৃত লেখনি ও অশ্লীল চিত্রাঙ্কনের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলো নবীনগর উপজেলা বাসী নড়াইলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শহিদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ। টাঙ্গাইলে গণহত্যা দিবস পালন  “ আপনার স্বাস্থ্য আপনার-ই হাতে” এ শ্লোগানটিকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে হবে। মুরাদনগরে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে দুমকিতে গনহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা আলোচনা সভা আজ বিভীষিকাময় গণহত্যা দিবস।

আজ মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আজ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু’টি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। তারা সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে। যদি এই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হারে তাহলে কংগ্রেসের ওই দুটি কক্ষই চলে যাবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের হাতে। তাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার ক্ষমতার মেয়াদের বাকি দু’টি বছর খুব জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, তিনি নিজে থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

তাকে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে হবে কংগ্রেস থেকে। ফলে ডেমোক্রেটরা যদি কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পায় তাহলে তিনি সব ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবেন এমনটা হলফ করে বলা যায় না। এমনিতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ ভোট পড়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার থেকে অনেক কম ভোট দেন ভোটাররা। কিন্তু তাতে কি! ফল যাই হোক তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাটকীয় এক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনগত অথবা লেজিসলেটিভ সব এজেন্ডা বাস্তবায়নে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা আসন হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন ৪৩৫টি। বর্তমানে ২৩৬টি আসন ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। ডেমোক্রেটদের দখলে আছে ১৯৩টি। ৬টি আসন ফাঁকা আছে। প্রতি দু’বছর পর পর এ পরিষদের সব আসনে নির্বাচন হয়। নতুন নির্বাচিত কংগ্রেসের মেয়াদ শুরু হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যে টি-পার্টি আয়োজন করা হয় তার পর থেকে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ বলে পরিচিত এই প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হলেন রিপাবলিকান পল যায়ান। তিনিও এবার তার নিজের রাজ্য উইসকনসিন থেকে নির্বাচন করছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে হলে ডেমোক্রেটদের প্রয়োজন ২৩টি আসন। তারা সেটা পাবে বলে বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে।

ওদিকে সিনেটে রয়েছে ১০০ আসন। প্রতিটি রাজ্যে দুটি করে আসন মিলে এই সংখ্যা দাঁড়ায়। বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকানদের দখলে আছে ৫১ আসন। ডেমোক্রেটদের ৪৯ আসন। নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর। কিন্তু প্রতি দু’বছর পর পর এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। ফলে মঙ্গলবারের নির্বাচনে সিনেটের ৩৫টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। বর্তমানে এই আসনগুলোর মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। ৯টি রিপাবলিকানদের।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

“আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত”

আজ মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন

আপডেট টাইম ০৩:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আজ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু’টি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। তারা সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে। যদি এই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হারে তাহলে কংগ্রেসের ওই দুটি কক্ষই চলে যাবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের হাতে। তাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার ক্ষমতার মেয়াদের বাকি দু’টি বছর খুব জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, তিনি নিজে থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

তাকে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে হবে কংগ্রেস থেকে। ফলে ডেমোক্রেটরা যদি কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পায় তাহলে তিনি সব ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবেন এমনটা হলফ করে বলা যায় না। এমনিতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ ভোট পড়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার থেকে অনেক কম ভোট দেন ভোটাররা। কিন্তু তাতে কি! ফল যাই হোক তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাটকীয় এক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনগত অথবা লেজিসলেটিভ সব এজেন্ডা বাস্তবায়নে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা আসন হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন ৪৩৫টি। বর্তমানে ২৩৬টি আসন ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। ডেমোক্রেটদের দখলে আছে ১৯৩টি। ৬টি আসন ফাঁকা আছে। প্রতি দু’বছর পর পর এ পরিষদের সব আসনে নির্বাচন হয়। নতুন নির্বাচিত কংগ্রেসের মেয়াদ শুরু হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যে টি-পার্টি আয়োজন করা হয় তার পর থেকে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ বলে পরিচিত এই প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হলেন রিপাবলিকান পল যায়ান। তিনিও এবার তার নিজের রাজ্য উইসকনসিন থেকে নির্বাচন করছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে হলে ডেমোক্রেটদের প্রয়োজন ২৩টি আসন। তারা সেটা পাবে বলে বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে।

ওদিকে সিনেটে রয়েছে ১০০ আসন। প্রতিটি রাজ্যে দুটি করে আসন মিলে এই সংখ্যা দাঁড়ায়। বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকানদের দখলে আছে ৫১ আসন। ডেমোক্রেটদের ৪৯ আসন। নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর। কিন্তু প্রতি দু’বছর পর পর এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। ফলে মঙ্গলবারের নির্বাচনে সিনেটের ৩৫টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। বর্তমানে এই আসনগুলোর মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। ৯টি রিপাবলিকানদের।