ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক এম এ মালেক এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ আমজাদ হোসেন‌ । লক্ষ্মীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক মরহুম এম এ মালেক এর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী ৯ এপ্রিল । গত- ৯-৪-১৮ এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন । আল্লাহ মরহুম এম এ মালেক কে বেহেস্তে নসিব করুন । মৃত্যু কালে তিনি ৮ ছেলে ৩ মেয়ে রেখে যান । মরহুম এম এ মালেক ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারী লক্ষ্মীপুর শহর এর বাসিন্দা প্রবীণ সাংবাদিক ‘দৈনিক কিষান, পত্রিকার তৎকালীন ষ্টাফ রিপোর্টার বিশিষ্ট সমাজকর্মী , এক সময়ের তুখোড় বক্তা ও ছাত্র নেতা, এম এ মালেক ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী । এছাড়াও তিনি লক্ষ্মীপুরের অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা  ‘ দৈনিক আজাদ, এর লক্ষ্মীপু্র জেলা প্রতিনিধি এবং, নোয়াখালী জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মরহুম আবদুল মালেক (মানিক) এবং তৎকালীন দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকার প্রতিনিধি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনির বিদ্যুৎ এর প্রস্তাবনায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক মরহুম এম এ মালেক সাহেবের ব্যক্তিগত চেয়ার ও টেবিল দিয়েই রহমানিয়া প্রেসে প্রেসক্লাব কার্যালয় স্থাপন করা হয় । মালেক সাহেব শুধু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেই ক্ষান্ত হননি পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সাংবাদিক সৃষ্টির কাজেও আত্মনিয়োগ করতঃ দৈনিক সংগ্রাম এর ফখরুল ইসলাম জেহাদী, সাপ্তাহিক সোনারবাংলার হাসানুজ্জামান মাস্টার, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন এদের সকলকেই অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন । তখন লক্ষ্মীপুরে শুধুমাত্র দু,টি সাপ্তাহিক পত্রিকাই ছিল । মরহুম এম এ মালেক সাহেবের নেতৃত্বে তখন প্রেসক্লাবের প্রথম সংবিধান রচিত হয় । এছাড়াও মালেক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি, লক্ষ্মীপু্র জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারন সম্পাদক, লক্ষ্মীপু্র কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একাধারে ২৩ বছরের সাবেক সভাপতি, লক্ষ্মীপু্র প্রগতি স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন এর লক্ষ্মীপু্র জেলা শাখার সাবেক ৩ বারের সফল সভাপতি, মৃত্যু কালীন সময় পর্যন্ত তিনি এসব সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন । এছাড়াও তিনি মৃত্যু কালীন সময় পর্যন্ত জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। লক্ষ্মীপুর জেলা বাসীর কাছে তিনি ছিলেন একজন প্রিয় মানুষ ও সাংবাদিকতার জগতের সাম্যবাদী বিদ্যাসাগর কলম সৈনিক । সাংবাদিকতা জগতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে তিনি ছিলেন সাহসী কলম সৈনিক । খুব সহজে সাধারন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতেন এ সাহসী বীরপুরুষ । মরহুম এম এ মালেক লক্ষ্মীপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সদস্য, লক্ষ্মীপু্র রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, লক্ষ্মীপু্র জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর সদস্য, জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন এর পিতা । আমজাদ মরহুম এম এ মালেক এর ৫ম পুত্র । মরহুম এম এ মালেকের  সাংবাদিকতা ও পারিবারিক সংক্ষিপ্ত বিবরণ, প্রবীণ সাংবাদিক মরহুম এম এ মালেক লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন । লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চুন্নি হাওলাদার বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন । তার পিতা ছিলেন সরকারী রেজিষ্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা, তারা ৬ ভাই এবং ২ বোন, ভাইদের মধ্যে মরহুম এম এ মালেকের অবস্থান ছিল ৩য় । তার সব ভাই-বোন উচ্চ শিক্ষিত বলেও জানা যায় । বড় ভাই মরহুম আবদুল গোফরান ছিলেন সরকারী রাজস্ব কর্মকর্তা । ২য় ভাই এম এ মতিন ছিলেন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ও মুক্তিযোদ্ধা । ৪র্থ ভাই বর্তমানে প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বিটিএমসির একজন জেনারেল ম্যানেজার ও চিফ উপদেষ্টা । ৫ম ভাই ডাঃ মো. জাকির হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও দায়িত্বে ছিলেন । এবং, লক্ষীপুর জেলা (স্বাচিপ) ও বি.এম.এ সভাপতি । বর্তমান আশুরা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সার্ভিসেস (প্রা:) এর চেয়ারম্যান । ছোট ভাই আবুল আহসান (টেলু) একজন ক্যামিকেল বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ার । মরহুম এম এ মালেক শিক্ষা জীবন শুরু করেন লক্ষ্মীপুর সমসেরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে । প্রাইমারী শেষ করে  ভর্তি হন লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুলে । হায়স্কুলে অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায় সাংবাদিকতা শুরু করেন ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার মাধ্যমে । পরবর্তীতে চৌমুহনী এস এ কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলা, দৈনিক কিষাণে, দৈনিক দেশ বাংলায় ও লেখালেখি করেন । এবং, লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল চিশ্ত ও দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠে দীর্ঘদিন সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করেন । ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন । মরহুম এম এ মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা টিটি কলেজ থেকে বি.এড সমাপ্ত করেন । দীর্ঘ ১৫ বছর সিলেটের ছাতক এবং সাভারের দোসাইদ এ.কে. হাইস্কুলে পর্যায়ক্রমে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন । বি.এড অধ্যায়ন কালীন সময়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে টিটি কলেজের ছাত্র সংসদ এর নির্বাচিত জি.এস ছিলেন । তিনি সাংবাদিকতা জীবনে অসংখ্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অংশগ্রহণ করেছিলেন । এবং, মৃত্যু কালীন সময় পর্যন্ত তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সকল সাংবাদিকদের বিপদে আপদে সহযোগিতা  করেছেন ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক এম এ মালেক এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট টাইম ০৯:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ আমজাদ হোসেন‌ । লক্ষ্মীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক মরহুম এম এ মালেক এর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী ৯ এপ্রিল । গত- ৯-৪-১৮ এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন । আল্লাহ মরহুম এম এ মালেক কে বেহেস্তে নসিব করুন । মৃত্যু কালে তিনি ৮ ছেলে ৩ মেয়ে রেখে যান । মরহুম এম এ মালেক ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারী লক্ষ্মীপুর শহর এর বাসিন্দা প্রবীণ সাংবাদিক ‘দৈনিক কিষান, পত্রিকার তৎকালীন ষ্টাফ রিপোর্টার বিশিষ্ট সমাজকর্মী , এক সময়ের তুখোড় বক্তা ও ছাত্র নেতা, এম এ মালেক ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী । এছাড়াও তিনি লক্ষ্মীপুরের অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা  ‘ দৈনিক আজাদ, এর লক্ষ্মীপু্র জেলা প্রতিনিধি এবং, নোয়াখালী জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মরহুম আবদুল মালেক (মানিক) এবং তৎকালীন দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকার প্রতিনিধি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনির বিদ্যুৎ এর প্রস্তাবনায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক মরহুম এম এ মালেক সাহেবের ব্যক্তিগত চেয়ার ও টেবিল দিয়েই রহমানিয়া প্রেসে প্রেসক্লাব কার্যালয় স্থাপন করা হয় । মালেক সাহেব শুধু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেই ক্ষান্ত হননি পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সাংবাদিক সৃষ্টির কাজেও আত্মনিয়োগ করতঃ দৈনিক সংগ্রাম এর ফখরুল ইসলাম জেহাদী, সাপ্তাহিক সোনারবাংলার হাসানুজ্জামান মাস্টার, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন এদের সকলকেই অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন । তখন লক্ষ্মীপুরে শুধুমাত্র দু,টি সাপ্তাহিক পত্রিকাই ছিল । মরহুম এম এ মালেক সাহেবের নেতৃত্বে তখন প্রেসক্লাবের প্রথম সংবিধান রচিত হয় । এছাড়াও মালেক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি, লক্ষ্মীপু্র জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারন সম্পাদক, লক্ষ্মীপু্র কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একাধারে ২৩ বছরের সাবেক সভাপতি, লক্ষ্মীপু্র প্রগতি স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন এর লক্ষ্মীপু্র জেলা শাখার সাবেক ৩ বারের সফল সভাপতি, মৃত্যু কালীন সময় পর্যন্ত তিনি এসব সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন । এছাড়াও তিনি মৃত্যু কালীন সময় পর্যন্ত জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। লক্ষ্মীপুর জেলা বাসীর কাছে তিনি ছিলেন একজন প্রিয় মানুষ ও সাংবাদিকতার জগতের সাম্যবাদী বিদ্যাসাগর কলম সৈনিক । সাংবাদিকতা জগতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে তিনি ছিলেন সাহসী কলম সৈনিক । খুব সহজে সাধারন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতেন এ সাহসী বীরপুরুষ । মরহুম এম এ মালেক লক্ষ্মীপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সদস্য, লক্ষ্মীপু্র রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, লক্ষ্মীপু্র জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর সদস্য, জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন এর পিতা । আমজাদ মরহুম এম এ মালেক এর ৫ম পুত্র । মরহুম এম এ মালেকের  সাংবাদিকতা ও পারিবারিক সংক্ষিপ্ত বিবরণ, প্রবীণ সাংবাদিক মরহুম এম এ মালেক লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন । লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চুন্নি হাওলাদার বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন । তার পিতা ছিলেন সরকারী রেজিষ্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা, তারা ৬ ভাই এবং ২ বোন, ভাইদের মধ্যে মরহুম এম এ মালেকের অবস্থান ছিল ৩য় । তার সব ভাই-বোন উচ্চ শিক্ষিত বলেও জানা যায় । বড় ভাই মরহুম আবদুল গোফরান ছিলেন সরকারী রাজস্ব কর্মকর্তা । ২য় ভাই এম এ মতিন ছিলেন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ও মুক্তিযোদ্ধা । ৪র্থ ভাই বর্তমানে প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বিটিএমসির একজন জেনারেল ম্যানেজার ও চিফ উপদেষ্টা । ৫ম ভাই ডাঃ মো. জাকির হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও দায়িত্বে ছিলেন । এবং, লক্ষীপুর জেলা (স্বাচিপ) ও বি.এম.এ সভাপতি । বর্তমান আশুরা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সার্ভিসেস (প্রা:) এর চেয়ারম্যান । ছোট ভাই আবুল আহসান (টেলু) একজন ক্যামিকেল বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ার । মরহুম এম এ মালেক শিক্ষা জীবন শুরু করেন লক্ষ্মীপুর সমসেরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে । প্রাইমারী শেষ করে  ভর্তি হন লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুলে । হায়স্কুলে অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায় সাংবাদিকতা শুরু করেন ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার মাধ্যমে । পরবর্তীতে চৌমুহনী এস এ কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলা, দৈনিক কিষাণে, দৈনিক দেশ বাংলায় ও লেখালেখি করেন । এবং, লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল চিশ্ত ও দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠে দীর্ঘদিন সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করেন । ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন । মরহুম এম এ মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা টিটি কলেজ থেকে বি.এড সমাপ্ত করেন । দীর্ঘ ১৫ বছর সিলেটের ছাতক এবং সাভারের দোসাইদ এ.কে. হাইস্কুলে পর্যায়ক্রমে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন । বি.এড অধ্যায়ন কালীন সময়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে টিটি কলেজের ছাত্র সংসদ এর নির্বাচিত জি.এস ছিলেন । তিনি সাংবাদিকতা জীবনে অসংখ্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অংশগ্রহণ করেছিলেন । এবং, মৃত্যু কালীন সময় পর্যন্ত তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সকল সাংবাদিকদের বিপদে আপদে সহযোগিতা  করেছেন ।