ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মুরাদনগর উপজেলা ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামাররা

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মনির খাঁন, কুমিল্লা মুরাদনগরে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মুরাদনগর জমতে শুরু করেছে কুরবানির পশু কাটার জন্য দরকারি উপকরণ। তাই দা, ছুরি-চাপাতি তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা।
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মুরাদনগর উপজেলার  কামার পট্টিগুলো।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে। ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মুসলমানদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে তার ছেলে ইসমাঈল (আ.) কে কুরবানি করে ছিলেন সৃষ্টিকর্তাকে রাজি খুশি করতে।
পরে আল্লাহ তায়ালা তার কুরবানিকে পছন্দ করে ছেলের স্থলে ফেরেশতাকে হুকুম দেয় পশু রেখে দিতে। এখান থেকেই মুসলমানরা প্রতি বছর আল্লাহকে রাজি খুশি করতে ঈদুল আজহার নামাজের পর পশু জবাই করে। আর এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। ঈদের বাকি আর ২ দিন। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের  কামারপল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। আবার এসব ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে শানের দোকানগুলোতেও ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ শানদানিদেরও অনেক ভালো সময় কাটে এই মৌসুমে।
গতকাল মুরাদনগর উপজেলা সদর কোম্পানিগঞ্জ ,রামচন্দ্রপুর ,বাংগরা বাজার  সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। মুরাদনগর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কোম্পানিগঞ্জ ও রামচন্দ্রপুর বাজারের কামারশালাগুলোর ব্যস্ততা এখন সবচেয়ে বেশি। ভুল্লী  কর্মকাররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন জবাই সামগ্রী প্রস্তুতে। ঈদে হাজার হাজার গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ, উট, দুম্বা ইত্যাদি পশু কুরবানি করা হয়ে থাকে।
এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার আবশ্যকীয় হয়ে যায়। ঈদের আগেই পশু জবাই করার ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, চাপাতি, প্লাস্টিক ম্যাট, চাটাই, গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হয়। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দামে ছুরি, বঁটি, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। বড় ছুরির দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছোট ছুরির দাম ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। বড় ছুরিগুলো ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছে দোকানিরা। দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বঁটি প্রতিটির দাম ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। হাড় কাটার ছোট চাইনিজ কুড়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। মুরাদনগর  সবচেয়ে বড় কামার পট্টি কম্পানিগঞ্জ  বাজার। সেখানে কর্মচারী-মালিকরা মিলে পুরোদমে তৈরি করছে কুরবানির সরঞ্জামাদি। কথা হয় এক দোকানে বসে থাকা সজিবের সাথে। তিনি জানান, সারাবছর বেচাকেনা টুকটাক থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি।
কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ ভালো বেচাকেনা হয়। ওই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

মুরাদনগর উপজেলা ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামাররা

আপডেট টাইম ০১:০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মনির খাঁন, কুমিল্লা মুরাদনগরে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মুরাদনগর জমতে শুরু করেছে কুরবানির পশু কাটার জন্য দরকারি উপকরণ। তাই দা, ছুরি-চাপাতি তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা।
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মুরাদনগর উপজেলার  কামার পট্টিগুলো।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে। ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মুসলমানদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে তার ছেলে ইসমাঈল (আ.) কে কুরবানি করে ছিলেন সৃষ্টিকর্তাকে রাজি খুশি করতে।
পরে আল্লাহ তায়ালা তার কুরবানিকে পছন্দ করে ছেলের স্থলে ফেরেশতাকে হুকুম দেয় পশু রেখে দিতে। এখান থেকেই মুসলমানরা প্রতি বছর আল্লাহকে রাজি খুশি করতে ঈদুল আজহার নামাজের পর পশু জবাই করে। আর এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। ঈদের বাকি আর ২ দিন। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের  কামারপল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। আবার এসব ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে শানের দোকানগুলোতেও ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ শানদানিদেরও অনেক ভালো সময় কাটে এই মৌসুমে।
গতকাল মুরাদনগর উপজেলা সদর কোম্পানিগঞ্জ ,রামচন্দ্রপুর ,বাংগরা বাজার  সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। মুরাদনগর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কোম্পানিগঞ্জ ও রামচন্দ্রপুর বাজারের কামারশালাগুলোর ব্যস্ততা এখন সবচেয়ে বেশি। ভুল্লী  কর্মকাররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন জবাই সামগ্রী প্রস্তুতে। ঈদে হাজার হাজার গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ, উট, দুম্বা ইত্যাদি পশু কুরবানি করা হয়ে থাকে।
এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার আবশ্যকীয় হয়ে যায়। ঈদের আগেই পশু জবাই করার ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, চাপাতি, প্লাস্টিক ম্যাট, চাটাই, গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হয়। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দামে ছুরি, বঁটি, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। বড় ছুরির দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছোট ছুরির দাম ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। বড় ছুরিগুলো ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছে দোকানিরা। দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বঁটি প্রতিটির দাম ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। হাড় কাটার ছোট চাইনিজ কুড়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। মুরাদনগর  সবচেয়ে বড় কামার পট্টি কম্পানিগঞ্জ  বাজার। সেখানে কর্মচারী-মালিকরা মিলে পুরোদমে তৈরি করছে কুরবানির সরঞ্জামাদি। কথা হয় এক দোকানে বসে থাকা সজিবের সাথে। তিনি জানান, সারাবছর বেচাকেনা টুকটাক থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি।
কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ ভালো বেচাকেনা হয়। ওই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়।