ভ্রমন ডেস্ক : শিরোনামটি পড়ে বেশ আশ্চর্য হওয়ার কথা, বিদেশ ভ্রমণে আপনার যা আবশ্যকীয় তা হলো ভিসা, এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং। তবে বিনা ভিসাতেও যায় ভ্রমণ করা,
এ কথা কি জানেন! বেশির ভাগ দেশে কেবল টিকিট করে চলে গেলেই হবে, পর্যটক ভিসা আপনাকে ওই দেশের এয়ারপোর্টে দেয়া হবে। আবার কোনো কোনো দেশে তাও লাগে না, বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখিয়েই ওই দেশে ঢুকে যেতে পারবেন। দেশভেদে এসব দেশে ৫ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন আপনি।
কিছু দেশ আছে যেখানে আপনার থাকার কোনো সীমা বেধে দেয়া নেই। প্রয়োজন হলে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন। বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে যেতে ভিসার প্রয়োজন হয় না। শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলেই হবে।
আর এমন কিছু দেশ আছে যেখানে ল্যান্ড করার পরে এয়ারপোর্ট থেকে (on arrival) ভিসা পাওয়া যায়। তবে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে অবশ্য ফি দিতে হয়।
ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হলো-
এশিয়া মহাদেশঃ
ভুটান (যত দিন ইচ্ছা)
শ্রীলংকা (৩০ দিন)
আফ্রিকা মহাদেশঃ
কেনিয়া (৩ মাস)
মালাউই (৯০ দিন)
সেশেল (১ মাস)
আমেরিকা মহাদেশঃ
ডোমিনিকা (২১ দিন)
হাইতি (৩ মাস)
গ্রানাডা (৩ মাস)
সেন্ট কিট্স অ্যান্ড নেভিস (৩ মাস)
সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস)
টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন)
মন্টসের্রাট (৩ মাস), ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন)
ওশেনিয়া মহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস)
কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন)
নাউরু (৩০ দিন)
পালাউ (৩০ দিন)
সামোয়া (৬০ দিন)
টুভালু (১ মাস)
নুউ (৩০ দিন)
ভানুয়াটু (৩০ দিন) এবং
মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন)।
এছাড়া যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া সেসব দেশ হলো
এশিয়ার মধ্যে-
আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার)
জর্জিয়া (৩ মাস)
লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
মালদ্বীপ(৩০ দিন), মাকাউ (৩০ দিন)
নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
সিরিয়া (১৫ দিন)
পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে
বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক)
মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ)
মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার)
টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ) এবং
উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)
কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন। ফিরতি টিকিট ও হোটেল বুকিংয়ের কাগজ রাখতে ভুল করবেন না।