ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ব্যয় বাড়ছে ৭০৪৬ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাইকা নতুন করে প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখেছে, ব্যয় বাড়বে। এ কারণেই ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে।

রেলসেতু নির্মাণে যে ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ‌্যে ৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা।

২০১৬ সালে প্রকল্পটি যখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। তখন জাইকার ঋণ ছিল ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

নানা কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। এর মধ‌্যে রয়েছে— নির্মাণকাজের ব‌্যয় বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি ও অন্যান্য ফ্যাসিলিটিজ ভাড়া, জাদুঘর ও পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ, ব্যাংক চার্জ বৃদ্ধি। এছাড়া, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনেকেশন ওয়ার্কস ও প্যাকেজ-৩ এর কাজের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জাইকাকে জানানো হয়েছে। এর ফলেই বাড়তি ঋণ দেবে জাইকা।

প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ‌্যে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এর অগ্রগতি মাত্র ৯ শতাংশ। তাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

যমুনায় রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত হবে রেলসেতুটি। বঙ্গবন্ধু সেতু ইস্ট (বিবিই) স্টেশন ও বঙ্গবন্ধু সেতু ওয়েস্ট (বিবিডব্লিউ) স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারবেজড ইন্টারলিংকিং (সিবিআই) সিগন্যালিং সিস্টেম থাকবে। সেতু বরাবর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইনও থাকবে।

সেতুটি হলে তা বাংলাদেশের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হবে বলে মনে করছে সরকার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ব্যয় বাড়ছে ৭০৪৬ কোটি টাকা

আপডেট টাইম ০৫:২১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাইকা নতুন করে প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখেছে, ব্যয় বাড়বে। এ কারণেই ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে।

রেলসেতু নির্মাণে যে ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ‌্যে ৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা।

২০১৬ সালে প্রকল্পটি যখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। তখন জাইকার ঋণ ছিল ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

নানা কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। এর মধ‌্যে রয়েছে— নির্মাণকাজের ব‌্যয় বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি ও অন্যান্য ফ্যাসিলিটিজ ভাড়া, জাদুঘর ও পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ, ব্যাংক চার্জ বৃদ্ধি। এছাড়া, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনেকেশন ওয়ার্কস ও প্যাকেজ-৩ এর কাজের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জাইকাকে জানানো হয়েছে। এর ফলেই বাড়তি ঋণ দেবে জাইকা।

প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ‌্যে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এর অগ্রগতি মাত্র ৯ শতাংশ। তাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

যমুনায় রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত হবে রেলসেতুটি। বঙ্গবন্ধু সেতু ইস্ট (বিবিই) স্টেশন ও বঙ্গবন্ধু সেতু ওয়েস্ট (বিবিডব্লিউ) স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারবেজড ইন্টারলিংকিং (সিবিআই) সিগন্যালিং সিস্টেম থাকবে। সেতু বরাবর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইনও থাকবে।

সেতুটি হলে তা বাংলাদেশের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হবে বলে মনে করছে সরকার।