ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ

পিপিই বিক্রি করছেন মাছ বিক্রেতারাও!

চৌধুরী আকবর হোসেন: ‘হাওর ফিশ’ ফেসবুকভিত্তিক একটি অনলাইন শপ। এখান থেকে বিক্রি কর হয় মাছ। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে মাছের বদলে তারা মাস্ক, স্যুট, গগলস-সহ  ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বিক্রি শুরু করেছেন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগেই  অননুমোদিত, মানহীন সুরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করছেন অনেকেই। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পেজ থেকে এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে।

‘হাওর ফিশ’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন ধরনের পিপিই স্যুট বিক্রি করছেন। রি-ইউজেবল, ওয়াটার অ্যান্ড এয়ার প্রুফ প্যারাসুট কাপড়ের স্যুট ১৯৫০ টাকা,  টিস্যু কাপড়ের স্যুট  ৯৫০ টাকা,  ট্যাফে কাপড়ের স্যুট ১৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এছাড়া গগলস ১৪৮০ টাকা, বুট জুতা প্রতি জোড়া ১১৫০ টাকা, সার্জিক্যাল মাস্ক ৫০ পিসের বক্স ১৫৫০ টাকা, ভেনাস মাস্ক প্রতি পিস ৫৫০ টাকা, গ্লাভস ১০০ পিসের ১ প্যাকেট ৯৫০ টাকা, সু-কভার ডিসপজিবল ১০০ পিসের ১ প্যাকেট ১০৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তাদের প্রতিনিধি জানান, আমরা নিজেরাও পিপিই তৈরি করছি, একইসঙ্গে আমদানি করা পিপিই আছে। অনেকেই কিনছেন আমাদের কাছ থেকে, কারও কোন অভিযোগ আসেনি। বিএমএইচ থেকে আমরা অনুমোদন নিয়েছি।

আরেক মাছ বিক্রির ফেসবুক পেজ  ‘রিভার ফিশ’। তারাও পিপিই বিক্রি করছে।  ফেসবুকভিত্তিক অনেক অনলাইন শপেই বিক্রি হচ্ছে পিপিই। কোনও কোনও পেজে শুধু পিপিই স্যুট বিক্রি করা হচ্ছে, কোথাও মাস্ক, গগলসও বিক্রি হচ্ছে। এসব পেজের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় দামও বিভিন্ন রকমের। মূলত পানিরোধী কাপড় দিয়ে এসব পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকায় পর্যন্ত এসব পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনার ভীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের কাপড় ব্যবহার করেই পিপিই স্যুট তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এসব স্যুট তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না। স্বাস্থ্য অধিদফতর বা সরকারের কোনও সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই বানানো হচ্ছে এসব পণ্য।

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের পিপিই ব্যবহার করতে হবে। পিপিই হতে হবে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের উপযোগী। এই পোশাক হবে কম্বো পিপিই -কাভার অল, হেডমাস্ক, গগলস, বুট এবং সু-কাভারসহ। এগুলো হবে ডিসপোজেবল, একবার পরার পর ফেলে দিতে হবে। যদিও চিকিৎসক, রোগীর কক্ষে থাকা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসহ প্রতিটি স্তরের পেশাজীবীদের জন্য পৃথক পৃথক পিপিইর কথা বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের লজিস্টিক সাপোর্ট বিষয়ক কমিটির সদস্য ডা. শামীম রিজওয়ান বলেন, পিপিই তৈরির জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে। সেগুলো না মেনে তৈরি করা হলে কোনোভাবেই ঝুঁকি এড়ানো যাবে না। গুণগত মান নিশ্চিত না করে কোনোভাবেই সেগুলো বাজারজাত করাও ঠিক নয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড

পিপিই বিক্রি করছেন মাছ বিক্রেতারাও!

আপডেট টাইম ০২:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০

চৌধুরী আকবর হোসেন: ‘হাওর ফিশ’ ফেসবুকভিত্তিক একটি অনলাইন শপ। এখান থেকে বিক্রি কর হয় মাছ। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে মাছের বদলে তারা মাস্ক, স্যুট, গগলস-সহ  ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বিক্রি শুরু করেছেন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগেই  অননুমোদিত, মানহীন সুরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করছেন অনেকেই। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পেজ থেকে এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে।

‘হাওর ফিশ’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন ধরনের পিপিই স্যুট বিক্রি করছেন। রি-ইউজেবল, ওয়াটার অ্যান্ড এয়ার প্রুফ প্যারাসুট কাপড়ের স্যুট ১৯৫০ টাকা,  টিস্যু কাপড়ের স্যুট  ৯৫০ টাকা,  ট্যাফে কাপড়ের স্যুট ১৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এছাড়া গগলস ১৪৮০ টাকা, বুট জুতা প্রতি জোড়া ১১৫০ টাকা, সার্জিক্যাল মাস্ক ৫০ পিসের বক্স ১৫৫০ টাকা, ভেনাস মাস্ক প্রতি পিস ৫৫০ টাকা, গ্লাভস ১০০ পিসের ১ প্যাকেট ৯৫০ টাকা, সু-কভার ডিসপজিবল ১০০ পিসের ১ প্যাকেট ১০৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তাদের প্রতিনিধি জানান, আমরা নিজেরাও পিপিই তৈরি করছি, একইসঙ্গে আমদানি করা পিপিই আছে। অনেকেই কিনছেন আমাদের কাছ থেকে, কারও কোন অভিযোগ আসেনি। বিএমএইচ থেকে আমরা অনুমোদন নিয়েছি।

আরেক মাছ বিক্রির ফেসবুক পেজ  ‘রিভার ফিশ’। তারাও পিপিই বিক্রি করছে।  ফেসবুকভিত্তিক অনেক অনলাইন শপেই বিক্রি হচ্ছে পিপিই। কোনও কোনও পেজে শুধু পিপিই স্যুট বিক্রি করা হচ্ছে, কোথাও মাস্ক, গগলসও বিক্রি হচ্ছে। এসব পেজের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় দামও বিভিন্ন রকমের। মূলত পানিরোধী কাপড় দিয়ে এসব পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকায় পর্যন্ত এসব পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনার ভীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের কাপড় ব্যবহার করেই পিপিই স্যুট তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এসব স্যুট তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না। স্বাস্থ্য অধিদফতর বা সরকারের কোনও সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই বানানো হচ্ছে এসব পণ্য।

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের পিপিই ব্যবহার করতে হবে। পিপিই হতে হবে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের উপযোগী। এই পোশাক হবে কম্বো পিপিই -কাভার অল, হেডমাস্ক, গগলস, বুট এবং সু-কাভারসহ। এগুলো হবে ডিসপোজেবল, একবার পরার পর ফেলে দিতে হবে। যদিও চিকিৎসক, রোগীর কক্ষে থাকা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসহ প্রতিটি স্তরের পেশাজীবীদের জন্য পৃথক পৃথক পিপিইর কথা বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের লজিস্টিক সাপোর্ট বিষয়ক কমিটির সদস্য ডা. শামীম রিজওয়ান বলেন, পিপিই তৈরির জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে। সেগুলো না মেনে তৈরি করা হলে কোনোভাবেই ঝুঁকি এড়ানো যাবে না। গুণগত মান নিশ্চিত না করে কোনোভাবেই সেগুলো বাজারজাত করাও ঠিক নয়।