সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত ত্রান আত্মসাৎের ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পরার রেশ কাটতে না কাটতেই নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবর রহমান। বৃহঃস্পতিবার (০৪ই জুন) চেয়ারম্যানের স্ত্রীর দাবি নিয়ে পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরা শশি সাইফুন তলা এর তমা রানী পুঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ীতে অবস্থান করে বলে জানা যায়। জানা যায় পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরা শশি সাইফুন তলার হীরা মন এর স্ত্রী তমা রানী’র সাথে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছে পঞ্চপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে কিছামত পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা এসতামুল বলেন, উত্তরা শশি সাইফুন তলার তমা রানীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে রয়েছে চেয়ারম্যানের। আমি নিজেই দুইদিন হবিবর চেয়ারম্যানকে হাতেনাতে ধরেছি অনৈতিক কাজ করার সময়। কিন্তু আমার সম্পর্কে মামা হয় আমি কিছু বলতে পারি না। এছাড়া সব সময় দেখা যায় তমা কে নিয়ে হবিবর চেয়ারম্যান মোটরসাইকেলে করে কই কই যানি নিয়ে যায় আবার নিয়ে আসে।
অনেক খোজার পর তমা রানী’র সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার বিয়ে হওয়ার ১৫ বছর হয়েছে। হবিবর চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক শুরু করে। এবং এর তিন বছর পর সে আমাকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের সব কাগজ তার কাছে রাখেন। এভাবে আমাদের সম্পর্ক চলছে কিন্তু কয়েকদিন থেকে তিনি আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করছেন আমি তার কাছে এমনটা করার কারন জানতে চাইলে তিনি আমাকে কিছুই বলেন না। আজকে যখন শুনতে পাই তিনি আরেকটি মেয়ে নিয়ে সৈয়দপুরে বোর্ডিং যাচ্ছেন আমি সৈয়দপুর শহরের ওই বোর্ডিং (আবাসিক হোটেল) গিয়ে তাদের হাতে নাতে ধরি এবং আমার ছোট মোবাইল দিয়ে ভিডিও করি কিন্তু চেয়ারম্যান আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ডাং মাইর করি পাঠে দেয়।
তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে বলেন তোর সাহস থাকলে আমার বাড়ী গিয়ে উঠিস। তারপর আমি সেখান থেকে চলে এসে চেয়ারম্যানের বাড়ীতে বউয়ের দাবি নিয়ে যাই কিন্তু সেখানে গিয়ে চেয়ারম্যানের বউ, সালা ভাই এসে আমাকে মাইর ধোরের হুমকি দিয়ে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেয়। এখন গ্রামে আমার মুখ দেখানোর জায়গা নেই আমার আর আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই ।
এদিকে তমা রানীর হাতে সৈয়দপুর শহরের আবাসিক হোটেলটিতে নারীসহ আটকের পর ওই হোটেল মালিক, দুইজন মিডিয়া কর্মী, রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৩ লাখ টাকায় দফারফা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কোন কারনে এর ব্যত্যয় হওয়াতেই তমা রানী ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছেন। কেননা উপস্তিত ব্যাক্তিরা আর্থিক সুবিধা নিয়ে খুব দ্রুততার সাথে চোয়ারম্যানকে পগার পার করে দিয়েছিলেন। এমন কী পুলিশ ও গোয়েন্দার লোকজন এসেও তখন ঘটনার সাথে জড়িতদের কাউকেই পায়নি। তবে শহরময় ঘটনাটি মুহূর্তেই চাউড় হয়ে গিয়েছিল।
পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবর রহমান কে তমার সাথে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা বা আবাসিক হোটেলে নারীসহ আটকের বিষয়ে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন , আমি কিছু জানি না, আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতেও পারবো না।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এলিনা আক্তার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।