ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

ধামরাইয়ে নারী আইনজীবীর বাড়ী ভাংচুর, হামলার শিকার দুই আইনজীবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ- রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী ধামরাই পৌরসভায় এক নারী আইনজীবির বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনের তোয়াক্কা না করেই খোদ পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পৈত্রিক বসতবাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন এ্যানী। এসময় বাধাঁ দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন শারমিন এ্যানি ও তার স্বামী অ্যাডভোকেট তোজ্জামেল হোসনে সোহাগসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন অভিযোগ করে বলেন, প্রয়াত বাবা এস এম শাহজাহান ১৯৯৭ইং সালে ধামরাই পৌর এলাকার লাকুড়িয়াপাড়া এলাকায় ৯শতাংশ জমির উপর বহুতল ভবন নির্মান করে বসবাস শুরু করেন। ২০০৯ ইং সালে বাবা মারা যাওয়ার পর ওই বাড়ীতে মা ও ছোট দু’টি বোনকে নিয়ে ভালোভাবেই বাস করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ধামরাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্থানীয় বাবুল মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে আমাদের ওই জমির উপর। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে হয়রানীর চেষ্টা করতে থাকে বাবুল মিয়া ও তার লোকজন। গেলো ১২ মার্চ হঠাৎই সকাল বেলা ৬০-৭০জন গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ীতে এসে ভাংচুর শুরু করে। এসময় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর বাবুল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভাংচুরের নির্দেশনা দিতে থাকেন। এসময় তারা বাড়ীর একাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। লুটপাট করেন বাড়ীর মূল্যবান মালামাল। ভাংচুরে বাধাঁ দিতে গিয়ে এসময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন শাহনাজ শারমিন, স্বামী তোজাম্মেল হোসেন সোহাদ এবং তার বৃদ্ধ মাসহ ছোট বোনেরা। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ওইদিন রাতেই ১৮ফুট সংযোগ সড়ক নির্মান করে দেওয়া হয়। শাহনাজ শারমিন এসময় অভিযোগ করে আরও বলেন, সিএস ও এসএ ম্যাপে এখান কোন রাস্তা না থাকলেও আরএস ম্যাপে এখান দিয়ে পায়ে হাটার জন্য শুধুমাত্র ৮ফিট রাস্তা ছিল যেখানে আমরাও সম্মতি দিয়েছিলাম। সম্প্রতি কিছুদুর পরেই একটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শুধুমাত্রা এ গার্মেন্টটি’র সুবিধার্থেই আমাদের পৈত্রিক বসত-ভিটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য অবশ্য তারা ঐ গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এ ঘটনায় প্রৃকত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে তিনি বলেন, আমরা আইনজীবিরা আজ যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি সেখানে সাধারন মানুষের কি অবস্থা হতে পারে। এ ঘটনায় তিনি ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর বলেন, রাস্তা নির্মানের জন্য তাদের বাড়ী ভাঙ্গা হয়েছে। এজন্য কি তাদের জমি একর করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন না জমিটি এখনো একর করা হয় নি।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্য দীপক সাহা বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

ধামরাইয়ে নারী আইনজীবীর বাড়ী ভাংচুর, হামলার শিকার দুই আইনজীবি

আপডেট টাইম ০৮:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ- রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী ধামরাই পৌরসভায় এক নারী আইনজীবির বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনের তোয়াক্কা না করেই খোদ পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পৈত্রিক বসতবাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন এ্যানী। এসময় বাধাঁ দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন শারমিন এ্যানি ও তার স্বামী অ্যাডভোকেট তোজ্জামেল হোসনে সোহাগসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন অভিযোগ করে বলেন, প্রয়াত বাবা এস এম শাহজাহান ১৯৯৭ইং সালে ধামরাই পৌর এলাকার লাকুড়িয়াপাড়া এলাকায় ৯শতাংশ জমির উপর বহুতল ভবন নির্মান করে বসবাস শুরু করেন। ২০০৯ ইং সালে বাবা মারা যাওয়ার পর ওই বাড়ীতে মা ও ছোট দু’টি বোনকে নিয়ে ভালোভাবেই বাস করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ধামরাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্থানীয় বাবুল মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে আমাদের ওই জমির উপর। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে হয়রানীর চেষ্টা করতে থাকে বাবুল মিয়া ও তার লোকজন। গেলো ১২ মার্চ হঠাৎই সকাল বেলা ৬০-৭০জন গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ীতে এসে ভাংচুর শুরু করে। এসময় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর বাবুল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভাংচুরের নির্দেশনা দিতে থাকেন। এসময় তারা বাড়ীর একাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। লুটপাট করেন বাড়ীর মূল্যবান মালামাল। ভাংচুরে বাধাঁ দিতে গিয়ে এসময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন শাহনাজ শারমিন, স্বামী তোজাম্মেল হোসেন সোহাদ এবং তার বৃদ্ধ মাসহ ছোট বোনেরা। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ওইদিন রাতেই ১৮ফুট সংযোগ সড়ক নির্মান করে দেওয়া হয়। শাহনাজ শারমিন এসময় অভিযোগ করে আরও বলেন, সিএস ও এসএ ম্যাপে এখান কোন রাস্তা না থাকলেও আরএস ম্যাপে এখান দিয়ে পায়ে হাটার জন্য শুধুমাত্র ৮ফিট রাস্তা ছিল যেখানে আমরাও সম্মতি দিয়েছিলাম। সম্প্রতি কিছুদুর পরেই একটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শুধুমাত্রা এ গার্মেন্টটি’র সুবিধার্থেই আমাদের পৈত্রিক বসত-ভিটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য অবশ্য তারা ঐ গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এ ঘটনায় প্রৃকত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে তিনি বলেন, আমরা আইনজীবিরা আজ যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি সেখানে সাধারন মানুষের কি অবস্থা হতে পারে। এ ঘটনায় তিনি ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর বলেন, রাস্তা নির্মানের জন্য তাদের বাড়ী ভাঙ্গা হয়েছে। এজন্য কি তাদের জমি একর করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন না জমিটি এখনো একর করা হয় নি।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্য দীপক সাহা বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।