ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ –গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা

দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়বো না

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক: দেশের করোনা পরিস্থিতিতে দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ নিয়ে দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়বো না।’

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না। তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজি চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সবাই যাতে সাহায্য পায়। কেউ যাতে বাদ না পড়ে।’

সাহায্য পৌঁছে দেওয়ায় কোনও দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও রকম দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে, কোনও অভিযোগ পেলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়বো না।’

প্রধানমন্ত্রী সাহায্য দিতে গিয়ে লোক সমাগম করতে বারণ করেন। দরকার হলে বাড়ির কাছে গিয়ে সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৭ মার্চ এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’

সবাইকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু সমস্যাটা দূর হয়নি। তাই আমাদের সচতেন থাকা দরকার। করোনা দেখা দিলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে যাতে জন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

“২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ”

দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়বো না

আপডেট টাইম ১২:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক: দেশের করোনা পরিস্থিতিতে দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ নিয়ে দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়বো না।’

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না। তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজি চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সবাই যাতে সাহায্য পায়। কেউ যাতে বাদ না পড়ে।’

সাহায্য পৌঁছে দেওয়ায় কোনও দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও রকম দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে, কোনও অভিযোগ পেলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়বো না।’

প্রধানমন্ত্রী সাহায্য দিতে গিয়ে লোক সমাগম করতে বারণ করেন। দরকার হলে বাড়ির কাছে গিয়ে সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৭ মার্চ এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’

সবাইকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু সমস্যাটা দূর হয়নি। তাই আমাদের সচতেন থাকা দরকার। করোনা দেখা দিলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে যাতে জন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’