ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ –গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় ইলাজিগ প্রদেশে শুক্রবার রাতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ এ দাঁড়িয়েছে। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ।

শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮.৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ইলাজিগ প্রদেশের সিভিরিস শহর। আর ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিল ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের আঘাতে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আতঙ্কিত লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছিলো।

ভূমিকম্পটির তীব্রতা এত বেশি ছিল যে তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং ইরানেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। তুরস্কের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর প্রায় ৬০টি আফটারশক বা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এদের মধ্যে দুটির মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৪ এবং ৫ দশমিক ১।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে ইলাজিক প্রদেশের গেজিক জেলা। এখানে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ায় শত শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকা পড়ে আছে আরো ৩০ জনের বেশি মানুষ।

ভূমিকম্পের পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দলগুলো। দুর্গত এলাকাগুলোতে ৪শ’র বেশি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীও। যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের জন্য উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে তাঁবু ও বিছানা পাঠানো হয়েছে। আবার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে এই ভয়ে প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও লোকজন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভূমিকম্পের পরপরই ইলাজিক প্রদেশের গেজিক জেলা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোকা।

ভূমিকম্পের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে একটি টুইটার বার্তা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান। তিনি ওই বার্তায় দেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

তুরস্কে ভূমিকম্প কোনো নতুন বিষয় নয়। দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে ১৯৯৯ সালে পশ্চিমের শহর ইজমিতে ভূমিকম্পে প্রায় সতের হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন”

তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

আপডেট টাইম ০৯:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় ইলাজিগ প্রদেশে শুক্রবার রাতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ এ দাঁড়িয়েছে। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ।

শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮.৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ইলাজিগ প্রদেশের সিভিরিস শহর। আর ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিল ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের আঘাতে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আতঙ্কিত লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছিলো।

ভূমিকম্পটির তীব্রতা এত বেশি ছিল যে তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং ইরানেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। তুরস্কের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর প্রায় ৬০টি আফটারশক বা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এদের মধ্যে দুটির মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৪ এবং ৫ দশমিক ১।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে ইলাজিক প্রদেশের গেজিক জেলা। এখানে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ায় শত শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকা পড়ে আছে আরো ৩০ জনের বেশি মানুষ।

ভূমিকম্পের পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দলগুলো। দুর্গত এলাকাগুলোতে ৪শ’র বেশি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীও। যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের জন্য উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে তাঁবু ও বিছানা পাঠানো হয়েছে। আবার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে এই ভয়ে প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও লোকজন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভূমিকম্পের পরপরই ইলাজিক প্রদেশের গেজিক জেলা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোকা।

ভূমিকম্পের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে একটি টুইটার বার্তা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান। তিনি ওই বার্তায় দেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

তুরস্কে ভূমিকম্প কোনো নতুন বিষয় নয়। দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে ১৯৯৯ সালে পশ্চিমের শহর ইজমিতে ভূমিকম্পে প্রায় সতের হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।