ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।।

ঠাকুরগাঁও গড়েয়া রাস্তায় ধানের রোপা লাগিয়ে এলাকা বাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া কিসমত তেয়ারীগাও গোপিকান্তপুর গ্রামে দুুই কিলো মিটার চলাচলের একমাত্র রাস্তা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবারের তিন হাজার লোকজন।
স্থানীয় এলাকাবাসী নূর মোহাম্মদ (জিটু) সাংবাদিকদের জানান, আমরা এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোক বসবাস করি কিন্তু চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা এই রাস্তাটির বেহাল দশা, এই রাস্তার কারনে আমরা কোন মালামাল গড়েয়া হাটে নিয়ে কেনা বেচা করতে পারি না। এমনকি জরুরী রোগী নিয়ে আমরা মহাবিপদে পড়ে গেছি, গর্ভবতী এক মহিলাকে গত ২৬ জুলাই রাত ১২ টায় লাশ নেওয়া খাটিয়ায় করে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়া ঠাকুরগাঁও সদরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি একটি স্টকের রোগী বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে ভর্তি আছে তাকেও লাশের খাটিয়ায় করে নিতে হয়েছে। আসলে বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে ভটভটিতে দশ বস্তা ধান নিয়ে গড়েয়া হাটে পৌঁছাতে সময় লাগে তিন থেকে ৪ ঘন্টা অথচ দশ মিনিটের রাস্তা । তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, সরকার ও উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি জানান।
এ সময় ৪নং ওয়াড ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন রেনু বলেন,আমার এই এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমির আবাদ ও ফসল এই একটি রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া করা হয়।  ব্রিটিশ শাসনের পর থেকে আমাদের এই এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, ১৯৮৮ সালে দশ ফিট পানির নিচে রাস্তাটি তলিয়ে গিয়েছিলো এবং ২০১৭ সালে ৪ ফিট পানির নিচে রাস্তা টি তলিয়ে যায়। দুখের বিষয় আমি একজন ইউপি সদস্য হয়েও এখন পর্যন্ত বার বার ধর্না দিয়েও ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ বা এমপি মহোদয় কারো কোন সহযোগিতা পাইনি।
এলাকার প্রবীন ব্যক্তি দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন আমি একজন অবসর প্রাপ্ত পোস্ট মাষ্টার আমার বয়স ৮৭ বছর এখন পর্যন্ত আমার এলাকায় সরকারি কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। আমরা সরকারের কাছে আমাদের রাস্তাটির উপর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক হামিদ বলেন এই রাস্তার জন্য ভ্যান, বা গাড়ি কোন কিছু না পাওয়ায় আমার চার বিঘা মাটির প্রায় দুইশত মন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধান গুলো হাটে নিয়ে যেতে পারিনি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি ও কৃষকদের ভোগান্তির হাত থেকে মুক্ত করবেন।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

ঠাকুরগাঁও গড়েয়া রাস্তায় ধানের রোপা লাগিয়ে এলাকা বাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

আপডেট টাইম ০৫:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া কিসমত তেয়ারীগাও গোপিকান্তপুর গ্রামে দুুই কিলো মিটার চলাচলের একমাত্র রাস্তা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবারের তিন হাজার লোকজন।
স্থানীয় এলাকাবাসী নূর মোহাম্মদ (জিটু) সাংবাদিকদের জানান, আমরা এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোক বসবাস করি কিন্তু চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা এই রাস্তাটির বেহাল দশা, এই রাস্তার কারনে আমরা কোন মালামাল গড়েয়া হাটে নিয়ে কেনা বেচা করতে পারি না। এমনকি জরুরী রোগী নিয়ে আমরা মহাবিপদে পড়ে গেছি, গর্ভবতী এক মহিলাকে গত ২৬ জুলাই রাত ১২ টায় লাশ নেওয়া খাটিয়ায় করে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়া ঠাকুরগাঁও সদরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি একটি স্টকের রোগী বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে ভর্তি আছে তাকেও লাশের খাটিয়ায় করে নিতে হয়েছে। আসলে বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে ভটভটিতে দশ বস্তা ধান নিয়ে গড়েয়া হাটে পৌঁছাতে সময় লাগে তিন থেকে ৪ ঘন্টা অথচ দশ মিনিটের রাস্তা । তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, সরকার ও উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি জানান।
এ সময় ৪নং ওয়াড ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন রেনু বলেন,আমার এই এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমির আবাদ ও ফসল এই একটি রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া করা হয়।  ব্রিটিশ শাসনের পর থেকে আমাদের এই এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, ১৯৮৮ সালে দশ ফিট পানির নিচে রাস্তাটি তলিয়ে গিয়েছিলো এবং ২০১৭ সালে ৪ ফিট পানির নিচে রাস্তা টি তলিয়ে যায়। দুখের বিষয় আমি একজন ইউপি সদস্য হয়েও এখন পর্যন্ত বার বার ধর্না দিয়েও ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ বা এমপি মহোদয় কারো কোন সহযোগিতা পাইনি।
এলাকার প্রবীন ব্যক্তি দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন আমি একজন অবসর প্রাপ্ত পোস্ট মাষ্টার আমার বয়স ৮৭ বছর এখন পর্যন্ত আমার এলাকায় সরকারি কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। আমরা সরকারের কাছে আমাদের রাস্তাটির উপর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক হামিদ বলেন এই রাস্তার জন্য ভ্যান, বা গাড়ি কোন কিছু না পাওয়ায় আমার চার বিঘা মাটির প্রায় দুইশত মন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধান গুলো হাটে নিয়ে যেতে পারিনি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি ও কৃষকদের ভোগান্তির হাত থেকে মুক্ত করবেন।