আগের ম্যাচে লিটন দাসের ১২৬ রানের সেরা ইনিংসে স্বাগতিকরা করেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান। তারপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর মাশরাফি মুর্তজাদের দারুণ বোলিং বাংলাদেশকে রেকর্ড ১৬৯ রানে জেতায়। দুই দলের মধ্যে ৭৩ ওয়ানডেতে ৪৫টা জিতে বাংলাদেশই ফেভারিট আজও।
তাছাড়া জিম্বাবুয়ের দুর্বল শক্তির দলও বাংলাদেশের জন্য খুব একটা চিন্তার কারণ হতে পারছে না। এ ধরনের মানসিকতাই সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে বললেন ম্যাকেঞ্জি, ‘আপনাকে সবসময় ক্ষুধার্ত থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি দেশের হয়ে খেলছেন। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে আর অস্ট্রেলিয়াই হোক, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ছেলেরা ভালো করার জন্য ক্ষুধার্ত। সামনে যেই আসুক আপনাকে খেলতে হবে, কাউকে হালকা করে দেখার উপায় নেই। আত্মতৃপ্তির মানসিকতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে আমরা চাই না।’
এবার একটু হলেও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে। কারণ, দলের অন্যতম ভরসা শন উইলিয়ামস ফিরেছেন। অসুস্থতা কাটিয়ে ক্রেইগ আরভিনও মাঠে নামছেন। তাদের উপস্থিতি দলে বাড়তি শক্তি যোগ হবে।
‘আশা করি আমি দলের মধ্যে কিছুটা হলেও প্রাণ সঞ্চার করতে পারব। দলের শক্তি বাড়াতে পারব। ক্রেইগ আরভিনও সুস্থ হয়ে উঠছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত। আমাদের দলে টেলর ও রাজা গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। তাদের নিজেদের মতো করে খেলার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে’- সিরিজে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী উইলিয়ামস।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় কিছুটা পিছিয়ে থাকবে জিম্বাবুয়ে। তবে উইলিয়ামসন মনে করেন প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেনি তারা। সেখান থেকে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে তাদের। সিনিয়র খেলোয়াড়দের এগিয়ে আসতে হবে। বোর্ডে বড় রান জমা করতে হবে।
‘আমাদের কাজ হবে বোর্ডে পর্যাপ্ত রান তোলা। আমাদের খেলোয়াড়েরা পঞ্চাশ-ষাট রান করে আউট হয়ে যায়। সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আমাদের বিপক্ষে বড় শতক হাঁকায়। আমি মনে করি, শতক পাওয়াটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সিনিয়র খেলোয়াড়দের থেকে।’
উইলিয়ামসনের কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ সতর্ক না থাকলে তাদের জন্যই বিপদ।