মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না। তবে, ইভিএম সংক্রান্ত কোনো জটিলতা দেখা দিলে কারিগরি বিষয়গুলো তদারকি করার জন্য বিশেষজ্ঞ সেনাসদস্যরা থাকবেন। আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিক-নির্দেশনামূলক সভাশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা সেনা মোতায়েন করিনি। এবারও করব না। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকবে। পোশাকেই থাকবে। অস্ত্র থাকবে না। টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে তারা।
সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে নির্বাচন কমিশনার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে রফিকুল বলেন, ইভিএমসংক্রান্ত কোনো জটিলতা দেখা দিলে কারিগরি বিষয়গুলো তদারকি করার জন্য বিশেষজ্ঞ সেনাসদস্যরা থাকবেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সর্বোচ্চ পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। একজন ভোটার কেন্দ্রে গেলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন এ আশ্বাসটুকু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা দিতে পারি।
বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পেছানোর দাবি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ইসি বলেন, ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা। এরপর শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। এ সময়ের মধ্যেই বর্ষা চলে আসবে। বর্ষাকালে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। ফলে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ থাকছে না।
প্রেস ব্রিফিংকালে ইসি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন খান, অতিরিক্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান, বশির আহমদ, রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমদ ও কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।