ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

কুষ্টিয়ায় বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করলেন এমপি হানিফ

রফিক কুুষ্টিয়া : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব এলাকায় গণহত্যা হয়েছে। সেসব এলাকায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া গড়াই নদী ‘বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তস্ত নির্মাণ প্রকল্প’ ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদফতর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিভিন্ন স্থানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। লাশ ফেলা হয়েছিল পুকুর, খাল, নদী, ডোবা-নালায় ও গভীর জঙ্গলে। দেশের যেসব এলাকায় গণহত্যা হয়েছে সেসব এলাকায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। আবার অনেক জায়গায় বধ্যভূমির বেহাল দশা সেগুলো সংস্কারের পাশাপাশি সংরক্ষণ করা হবে।
জয়বাংলা কেবলমাত্র একটি স্লোগান নয়, এটি একটি আদর্শের নাম মন্তব্য করে হানিফ বলেন, জয়বাংলা বাঙালির স্লোগান, একটি জাতির স্লোগান। যারা বিভেদ, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, যারা বাংলাকে ঘৃণা করে বিজাতীয় রাজনীতি, ভাষা ও কৃষ্টিকে বাংলার মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, যারা মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্রকেই অস্বীকার করে তাদের গাত্রদাহ হয় এই স্লোগান শুনলে, ঠিক যেমনটি হতো পাকিস্তানিদের। জয়বাংলা স্লোগানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস খুঁজে পায় উলে­খ করে তিনি বলেন, এ স্লোগান শুনেই মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব জয়বাংলা স্লোগানকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

কুষ্টিয়ায় বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করলেন এমপি হানিফ

আপডেট টাইম ০১:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
রফিক কুুষ্টিয়া : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব এলাকায় গণহত্যা হয়েছে। সেসব এলাকায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া গড়াই নদী ‘বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তস্ত নির্মাণ প্রকল্প’ ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদফতর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিভিন্ন স্থানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। লাশ ফেলা হয়েছিল পুকুর, খাল, নদী, ডোবা-নালায় ও গভীর জঙ্গলে। দেশের যেসব এলাকায় গণহত্যা হয়েছে সেসব এলাকায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। আবার অনেক জায়গায় বধ্যভূমির বেহাল দশা সেগুলো সংস্কারের পাশাপাশি সংরক্ষণ করা হবে।
জয়বাংলা কেবলমাত্র একটি স্লোগান নয়, এটি একটি আদর্শের নাম মন্তব্য করে হানিফ বলেন, জয়বাংলা বাঙালির স্লোগান, একটি জাতির স্লোগান। যারা বিভেদ, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, যারা বাংলাকে ঘৃণা করে বিজাতীয় রাজনীতি, ভাষা ও কৃষ্টিকে বাংলার মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, যারা মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্রকেই অস্বীকার করে তাদের গাত্রদাহ হয় এই স্লোগান শুনলে, ঠিক যেমনটি হতো পাকিস্তানিদের। জয়বাংলা স্লোগানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস খুঁজে পায় উলে­খ করে তিনি বলেন, এ স্লোগান শুনেই মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব জয়বাংলা স্লোগানকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।