ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান চৌধুরী রোববার (২২ মার্চ) শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- বাসের চালক মো. গোলাম মোস্তফা (৬০) এবং হেলপার আব্দুল মান্নান ওরফে লতিফ (৪৫)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (নি.) আবুল বাশার আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে জাফর খান রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ মার্চ রাতে চকবাজারে অভিযান চালিয়ে প্রথমে হেলপার আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ওইদিনই গাবতলী থেকে চালক গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ১৮ মার্চ এএসআই জাহাঙ্গীর কাফরুল থানার তালতলা ৯ নম্বর গেট থেকে ১৩ নম্বর গেট পর্যন্ত ছিনতাই প্রতিরোধে নিয়োজিত ছিলেন। রাতে ৯ নম্বর গেটের উত্তর পাশে (পুরনো বিমানবন্দর) রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা দেখে এবং ভিকটিমের চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীদের ধরতে ধাওয়া করেন। এ সময় দক্ষিণ দিক থেকে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে আসা আলিফ পরিবহনের একটি বাস এএসআই জাহাঙ্গীরকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নাছিমা খাতুন ১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কাফরুল থানায় মামলা করেন।