লাইফস্টাইল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে চীনসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সংক্রমণের ফলে এ পর্যন্ত চীনে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর সংক্রমিত হয়েছে প্রায় এক লাখের মতো লোক। এ ভাইরাস আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আশংকাও রয়েছে। ছড়িয়ে যেতে পারে বিশ্বব্যাপী।
আরো পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধে ব্রোকলি
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। এর সঙ্গে হতে পারে নিউমোনিয়াও। তাই সাবধানতা খুবই জরুরি। বলা তো যায় না, কখন এই ভাইরাস আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে। করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণত ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। এই ভাইরাসটি মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়।নিজেকে সাবধান রাখাই শ্রেষ্ঠ উপায়। জেনে নিন করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়-
» যতটা সম্ভব ঘরেই থাকার চেষ্টা করুন। সময় কাটানোর জন্য ভালো কোনো সিনেমা দেখুন বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। তবে বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়াই ভালো।
» বাইরে বের হওয়ার আগে সঙ্গে মাস্ক নিতে ভুলবেন না।
» বাস, ট্রেন বা এজাতীয় গণপরিবহনগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
» বাইরে থেকে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ বা লিকুইড সোপ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
» বাইরে যাওয়ার আগে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে যান। সকালে ঘণ্টাখানেকের জন্য জানালা খোলা রাখুন। তাতে পর্যাপ্ত সতেজ বাতাস এবং সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করবে।
» সুস্থ এবং শক্তিশালী থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর ফলমূল এবং পর্যাপ্ত পানি খাবেন। কোনো কিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
» ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত সময় ধরে রান্না করতে। খেয়াল রাখবেন, এগুলো যেন অবশ্যই সেদ্ধ হয়।
» ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে রাখার চেষ্টা করুন, দিন বা সপ্তাহ ধরে ফেলে রাখবেন না।
» ঘর পরিষ্কার রাখুন। নিয়মিত আপনার থাকার ঘর এবং কাজের জায়গা পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে ইথাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করুন। এটি আপনি যেকোনো ওষুধের দোকানেই পাবেন।
» সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার পরিচিত কেউ আক্রান্ত মনে হলেও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।