করোনাভাইরাস ঠেকাতে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও গণপরিবহন বন্ধ না করা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি যাত্রীরা অনুসরণ না করলে করোনাভাইরাসের ভয়াবহভাবে বিস্তার ও বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে গণপরিবহন ব্যবহার সংক্রান্ত বিশেষ সতর্কতা প্রচারের পাশাপাশি গণপরিবহনকে জীবাণুমুক্ত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। জরুরি ভিত্তিতে বাস টার্মিনাল ও বাস স্টপেজ, রেল স্টেশন, লঞ্চ-টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটের পাশাপাশি আকাশপথের সকল যাত্রীদের জন্য থার্মাল স্ক্যানার বসিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, জনগণকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষায় ইতোমধ্যে সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে গণপরিবহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষ গণপরিবহন ব্যবহার করে। তাদের পক্ষে যেমন গণপরিবহনে যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের হাসপাতাল অথবা আশকোনা হজ্বক্যাম্পে নিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠানোর সময় তারা সিএনজি অটোরিকশা বা টেক্সী ক্যাবে চড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। আক্রান্ত কোনো রোগী বাস-মিনিবাস কিংবা হিউম্যান হলারে যাতায়াত করলে এতে করে পুরো অঞ্চলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই প্রতিটি নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ থেকে গণপরিবহনে যাত্রী উঠানো সময় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দ্বারা স্ক্যানিং করে যাত্রী ওঠানো। প্রতিটি ট্রিপ শেষে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন জীবাণুনাশক স্প্রে দ্বারা জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।