ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে উপচে পড়া ভিড়,মানা হচ্ছেনা স্বাস্থবিধি

মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:——-
কুষ্টিয়ার ইবিথানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নে ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ। মোঘল আমলে নির্মাণ হওয়া মসজিদটির কারুকার্য শৈলী সকলকে আকৃষ্ট করে। তবে কারো কারো ধারণা আছে যে এটি গায়েবি (এক রাতে তৈরি) মসজিদ। আর সে কারণেই বহু বছর আগে থেকেই মসজিদে প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগবালাই বা তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে ভেবে মান্নত নিয়ে আসে অনেকে। যদিও ধর্মীয় আলেমদের মতে মসজিদ কোন রোগ সারাতে পারে না। বর্তমান করোনাভাইরাস প্রকোপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে এর থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। যার কারণে দেশে দীর্ঘদিন অঘোষিত লকডাউন ছিল। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত আকারে লকডাউন শিথিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। আর এরই সুযোগ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ আজ শুক্রবার ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে জমায়েত হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে মান্নত কারীরা ও দর্শনার্থীরা ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ ভিড় জমায়। যেটি বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের জন্য হুমকিস্বরূপ। যেখানে কুষ্টিয়া জেলাতে এখন পর্যন্ত করোনাই আক্রান্তের সংখ্যা  প্রায় একশ জন। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে কোন সচেতনতাই দেখা যাচ্ছে না, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব এবং কোন স্বাস্থ্যবিধি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল মুখে মাক্স না পড়ে বাহিরে বের হলেই ভ্রাম্যমান আদালতে করা হবে জরিমানা। কিন্তু মসজিদে আসা দর্শনার্থীদের গুটিকয়েক জনগণ বাদে বেশিরভাগ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। এ মতো পরিস্থিতিতে দর্শনার্থী ও মন্নতকারী আসার কারণে কিছু সংখ্যক লোক এবং উর্দ্ধতন কিছু ব্যক্তি লাভবান হলেও হুমকিতে পড়ছে এলাকার মানুষ সহ সকলে। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী তুলেছেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বহিরাগত দর্শনার্থীরা যেন এখানে না আসতে পারে তার দিকে নজর দিতে। অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে,যেখানে সরকার করোনাভাইরাস রোধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সেখানে ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদের এই অবস্থা কেন।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে উপচে পড়া ভিড়,মানা হচ্ছেনা স্বাস্থবিধি

আপডেট টাইম ০৩:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০
মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:——-
কুষ্টিয়ার ইবিথানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নে ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ। মোঘল আমলে নির্মাণ হওয়া মসজিদটির কারুকার্য শৈলী সকলকে আকৃষ্ট করে। তবে কারো কারো ধারণা আছে যে এটি গায়েবি (এক রাতে তৈরি) মসজিদ। আর সে কারণেই বহু বছর আগে থেকেই মসজিদে প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগবালাই বা তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে ভেবে মান্নত নিয়ে আসে অনেকে। যদিও ধর্মীয় আলেমদের মতে মসজিদ কোন রোগ সারাতে পারে না। বর্তমান করোনাভাইরাস প্রকোপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে এর থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। যার কারণে দেশে দীর্ঘদিন অঘোষিত লকডাউন ছিল। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত আকারে লকডাউন শিথিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। আর এরই সুযোগ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ আজ শুক্রবার ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে জমায়েত হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে মান্নত কারীরা ও দর্শনার্থীরা ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ ভিড় জমায়। যেটি বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের জন্য হুমকিস্বরূপ। যেখানে কুষ্টিয়া জেলাতে এখন পর্যন্ত করোনাই আক্রান্তের সংখ্যা  প্রায় একশ জন। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে কোন সচেতনতাই দেখা যাচ্ছে না, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব এবং কোন স্বাস্থ্যবিধি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল মুখে মাক্স না পড়ে বাহিরে বের হলেই ভ্রাম্যমান আদালতে করা হবে জরিমানা। কিন্তু মসজিদে আসা দর্শনার্থীদের গুটিকয়েক জনগণ বাদে বেশিরভাগ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। এ মতো পরিস্থিতিতে দর্শনার্থী ও মন্নতকারী আসার কারণে কিছু সংখ্যক লোক এবং উর্দ্ধতন কিছু ব্যক্তি লাভবান হলেও হুমকিতে পড়ছে এলাকার মানুষ সহ সকলে। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী তুলেছেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বহিরাগত দর্শনার্থীরা যেন এখানে না আসতে পারে তার দিকে নজর দিতে। অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে,যেখানে সরকার করোনাভাইরাস রোধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সেখানে ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদের এই অবস্থা কেন।