নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৭১ সালের পর এবারই প্রথমবার বছরের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে গান শোনাবে না ছায়ানট। গানে গানে করবে না নতুন বছরের বন্দনা।চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাও বের হবে না। বাংলা একাডেমিতে জমবে না বৈশাখী মেলা। হবে না সারা দেশে সাংস্কৃতিক জমায়েত। দেশের সাংস্কৃতিকসেবীরা বলছেন, মানুষ বাঁচলে ভবিষ্যতে অনেক পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা যাবে। দেশের প্রধানমন্ত্রীও মানুষের কল্যাণে নববর্ষের সব আয়োজন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মঙ্গলবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকদের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আমাদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের।’
এ ছাড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে না সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটও। জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের কোনো আয়োজন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট করবে না, এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান জীবনের চেয়ে বড় না। মানুষ বাঁচলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বৈশাখ উদ্যাপন করা যাবে। মানুষের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা এবার সব বাতিল করেছি।’