রুবেল আহমেদ, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ
করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারনে সাধারণ মানুষ কর্মহীন তার উপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। আবার বিল সংশোধন করতে অফিসে গিয়ে হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন অনেকেই এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।বিল পরিশোধের পরও এক মাসের বিদ্যুৎ বিলে তিন মাসের বিল। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে যেন গ্রাহকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তারা খোঁজে পাচ্ছে না সমাধানও।
এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আখাউড়া পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরজমিনে আজ বুধবার ৩মে সকালে পল্লীবিদ্যুত জোনাল অফিসে গিয়ে পাওয়া যায় সাধারণ গ্রাহকের ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া এসময় কথা হয় পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের শিপন আহমেদের সাথে তিনি তার হাতে থাকা তিনটি বিল পেপার দেখিয়ে বলেন যে আমার মিটারের রিডিং ও বিলের পেপারের সাথে কোন মিল নেই তাই আমি আমার বিলটি সংশুদনের জন্য নিয়ে আসছি। আমি সচেতন বলে দেখে ঠিক করার জন্য নিয়ে আসছি কিন্ত অনেক সাধারণ মানুষ আছে যারা এত কিছু বুঝে না তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এমন হয়রানি শিকার আরেক জনের সাথে কথা হয় তিনি পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কলেজ পাড়ার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন টেইলার্সের সাথে তিনি জানান আমার বাড়ি এবং দোকানের এমন ভূতুরে বিল আসছে যা দেখার পর আমি হতাশ হয়েছি আজকে নিয়ে তিন দিন এসে আমি আমার বিলটি আংশিক ঠিক করেছি এমন হয়রানি আসলে মেনে নেয়ার মত না।
সাংবাদিকদের দেখে বিদ্যুত বিল দিতে আসা ৭০-৮০জন গ্রাহক অভিযোগ নিয়ে আসেন সবার একি অভিযোগ বিল নিয়ে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাতৃভূমির খবর প্রতিনিধিকে আখাউড়া পল্লীবিদ্যুত জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল বাশার বলেন এই মাসের বিদ্যুত বিলে কিছু সমস্যা হয়েছে আমরা যাদের বিলে সমস্যা হয়েছে তাদের বিল সংশুদন করে দিতেছি তা নিয়ে গ্রাহকদের কোন সমস্যা হবে না।