রাজশাহীর পদ্মায় বর-কনেবাহী দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকা নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণির (১৬) লাশ অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার ( ৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পদ্মার শ্যামনগর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো নয় জনে।
কনে পূর্ণি রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহিন আলীর মেয়ে। দেড় মাস আগে পদ্মার ওপারে একই উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের ইনসার আলীর ছেলে রুমন আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত বৃহস্পতিবার কনের বাড়িতে বিবাহ পরবর্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সুইটির লাশ উদ্ধারের মধ্যদিয়ে চারদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হতে যাচ্ছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- শিশু রুবাইয়া, পূর্ণির চাচা শামীম হোসেন, তার স্ত্রী মনি খাতুন, তাদের মেয়ে রসনি খাতুন, কনের খালাতো ভাই এখলাক হোসেন, দুলাভাই রতন আলী, তার মেয়ে মরিয়ম খাতুন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মাঝপদ্মায় ডুবে যায় বর-কনে ও তাদের স্বজন মিলে ৫০ জনকে বহনকারী দুটি নৌকা। তখন থেকেই ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, নৌ-পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। উদ্ধারকাজ দেখতে রোববারও দিনভর অসংখ্য মানুষ পদ্মার পাড়ে ভিড় করেন। ছিলেন নিহতদের স্বজনরাও।